Home আইন/আদালত অভিযোগ উঠেছে বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসানের বিরুদ্ধে

অভিযোগ উঠেছে বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসানের বিরুদ্ধে

43
0
SHARE

বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দর উপজেলার বালুচর এলাকায় সরকারি ড্রেজারের মাধ্যমে নদী খননের
মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার
অভিযোগ উঠেছে বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এমন কথা জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়
কয়েকজন জানান, নদীর নাব্যতা ফিরে আনার জন্য ২০১৯ সাল থেকে বন্দর
উপজেলার ব¤্রপুত্র নদীতে সরকারি ড্রেজারের মাধ্যমে নদী খনন কাজ
চলছে। এ কাজ কলাগাছিয়া ও বালুচর এলাকায় মরা নদী কেটে নাব্যতা
ফিরিয়ে আনা হবে। সরকারি নিয়ম ও বিআইডব্লিটিএ চুক্তি
মোতাবেক খননকৃত মাটি নদীর তীরের লোকজনদের চাহিদা মোতাবেক
বাড়িঘর,জমিজমা বা ডোবায় বিনামূল্যে ভরাট করে দেয়া হবে। অথচ এ
কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ড্রেজারের কন্ট্রাক্টর মোঃ শহিদ অর্থের
বিনিময়ে বন্দর ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদসহ
কতিপয় ব্যাক্তি মালিকানা জমিতে মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা
হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। এ মাটি বিক্রির
ক্ষেত্রে যে বেশি টাকা দেয় তাকেই মাটি দেয়া হয়। এ নিয়ে
এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে
বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগের প্রধাণ প্রকৌশলী আব্দুল
মতিন চৌধুরীর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে
পাওয়া যায়নি। (০১৫৫১২২৯৯৭৭) এ ব্যাপারে বন্দর ইউএনও শুক্লা সরকার
জানান,আমি কাগজপত্র না দেখে বলতে পারছিনা। তবে সরকারী ড্রেজারে
খননকৃত মাটি কেউ বিক্রী করতে পারেনা। এ ব্যাপারে বন্দর ইউনিয়ণ
পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ জানান, সরকারী রেভিনিউয়ের
মাধ্যমে আমি মাটি ক্রয় করছি। তিনি বলেন,সরকার কাউকে ফ্রিতে
মাটি ভরাট করে দেয়না। অবশ্যই সরকারের একটা নির্ধারিত ফি আছে।
তা পরিশোধ করেই মাটি ক্রয় করতে হয়। আমার কাছে মন্ত্রনালয়ের কাগজ
আছে। পে-অর্ডারও আছে। একমাত্র মসজিদ ও মাদ্রাসায় ফ্রি দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ড্রেজারের ঠিকাদার মোঃ শহিদ সাথে তার ব্যাক্তিগত মঠো
ফোনে আলাপ কালে তিনি জানান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
এহসান উদ্দিন সরকারকে ফি দিয়ে মাটি ক্রয় করেছে। এই মাটি কি

কাজে ব্যবহার করবে এই এখতিয়ার তার। আমি এর চেয়ে বেশী কিছু
বলতে পারব না।

image_pdfimage_print