
শামসুজ্জামান ডলার : ঐতিহ্যবাহী ও শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ মতলবগঞ্জ জে.বি. সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ চাঁদপুরের ওয়ালিউল্ল্যাহ পাটোয়ারীর ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৫ আগষ্ট।
দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলোকিত মানুষ, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চাঁদপুর জেলা তথা সারাদেশে শিক্ষার আলোকবর্তিকা প্রজ্জলঙ্কারি উজ্জ্বল নক্ষত্র মরহুম ওয়ালিউল্ল্যাহ পাটোয়ারী ১৯২৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এস সি পাস করেন। এই কীর্তিমান ব্যক্তি ১৯৩০ সালের মে মাসে মতলবগঞ্জ জে বি পাইলট হাই স্কুলে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে মাত্র ২৪ দিনের শিক্ষকতাই তাঁকে প্রধান-শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। খ্যাতিমান এই শিক্ষাবিদ সফল প্রধান-শিক্ষক হিসেবে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে স্কুলটিকে দেশের অদ্বিতীয় স্কুলে পরিণত করেন।

১৯৬২ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তাকে রাষ্ট্রীয় খেতাব “তঘমা-ই-খেদমত” উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৬৩ সালে পূর্ব-পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে “বেষ্ট টিচার এওয়ার্ড” পান। ১৯৬৭ সালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে কুমিল্লা বোর্ড থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন এবং জেলার কৃতি প্রধান-শিক্ষক হিসেবে পুনঃ পুনঃ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন। ১৯৮১ সালে কুমিল্লা ফাউন্ডেশন থেকে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
এই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দেশ এবং জাতির জন্য ১৫ টি মূল্যবান উপদেশমূলক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার জীবন অভিজ্ঞতার উল্লেখ্য যোগ্য গ্রন্থ “উপদেশ কনিকা”। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বব্যাপী মরহুম ওয়ালিউল্ল্যাহ পাটোয়ারির অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রি স্ব স্ব ক্ষেত্রে কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন এবং সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
১৯৯৯ সালের ২৫ অগাস্ট এ খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ মৃত্যুবরণ করেন। মতলব গঞ্জ জে বি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাকে সমাহিত করা হয়।