
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা প্রতিবেদক : ৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) মাধ্যমে চার হাজার ৬০৭ জন নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। পাশাপাশি সেবা বৃদ্ধির জন্য ১০ হাজার নার্সও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে নতুন করে আরও ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবের হোসেন চৌধুরী, হাফিজ আহমদ মজুমদার, বীরেন শিকদার, মনজুর হোসেন, রওশন আরা মান্নান এবং আবিদা আনজুম মিতা বৈঠকে অংশ নেন।
ওষুধসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সংকট উত্তরণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন সিবিএইচসি (কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার) অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৈঠকে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরও ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কমিটি যত দ্রুত সম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেছে।
মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা বাড়ানোর জন্য বর্তমানে ১৩ হাজার ৭৪৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ১২ জন ৮৫০ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছেন। প্রতিটি কমিটিনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় ৬ হাজার জনগোষ্ঠী সেবা পাচ্ছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ সঠিক ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয় বৈঠকে। কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। সাব-কমিটির প্রথম বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়। এ কমিটির মেয়াদ হবে আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বৈঠকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।