
ক্যাম্পাস প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দীর্ঘ দেড় বছরের তদন্ত শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর একটি প্রতিবেদন পেশ করে। দীর্ঘ ১২ পৃষ্ঠা ব্যাপি প্রদত্ত ঐ প্রতিবেদনে ইউজিসি মাওলানা সাদেক ও নতুন-পুরাতন সাঙ্গপাঙ্গদের ব্যাপক আর্থিক দূর্ণীতি, হাজার হাজার জাল সার্টিফিকেট বিক্রি, অর্থ পাচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে বিপুল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়, জঙ্গি কানেকশন, উচ্ছৃঙ্খল জীবনাচার ইত্যাদির প্রমাণ পেয়েছে মর্মে উল্লেখ করে। উক্ত প্রতিবেদনে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড যথাযথ প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়নি এবং তারা দায়িত্ব পালনে যথাযথ ভূমিকা না-রেখে বরং মাওলানা সাদেক-কে ব্যাপক দূর্ণীতির কাজে সহায়তা করেছে মর্মে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তা ভেঙ্গে দিয়ে নতুন ট্রাস্টি বোর্ড পূর্ণগঠনের সুপারিশ করে। বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
উক্ত প্রতিবেদনে ইউজিসি সরকারের বিবিধ তদন্তকারি সংস্থা যেমন দুদক, ডিবি, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট দ্বারা যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে মাওলানা সাদেক ও তার নতুন-পুরাতন সাঙ্গপাঙ্গের শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশেষ ভাবে সুপারিশ করে। উক্ত সুপারিশের প্রেক্ষিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে বিবিধ তদন্তকারি সংস্থা ইতিমধ্যে মাঠি নেমে পড়েছে। যার ফলাফল যথাশীঘ্র পাওয়া যাবে মর্মে জানতে পেরে মাওলানা সাদেক এখন অস্থির। তার শরীরের চামড়া ঝুলে গেছে, চেহারা মলিন হয়ে গেছে, নিদ্রাহীনতা পেয়ে বসেছে, শরীরের প্রেসার ২০০ থেকে ২৮০ মধ্যে অবস্থান করছে। যৌবন টেনে তুলতে বিশেষ ঔষধ এখন আর কাজ করছে না। এমতাবস্থায়ও সে তার চিরাচরিত শয়তানি ত্যাগ করে নাই। আন্দোলনকারি শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ভাঙ্গন ধরাতে ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মো: মহসিন-কে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে তার বাসভবনের একান্ত গোপনীয় কক্ষে ডেকে পাঠায়। ইতিপূর্বে সে একই কর্ম করে একটি টিভি চ্যানেলের একজন সিনিয়র সাংবাদিক এবং এশিয়ানের একজন সিনিয়র শিক্ষককে ট্র্যাপে ফেলে দেয়। তাদের মুখ এখন বন্ধ। মুখ খুললেই বিবিধ তথ্যে নেট দুনিয়া ভরে যাবে। সদা সতর্ক ড. মহসিন সেই ফাঁদে পা দেন নাই। এই যাত্রায় ব্যার্থ হয়ে মাওলানা সাদেক এখন আন্দোলনকারিদের সদস্য-সচিব সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রধান ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. মো: আনিসুর রহমান-এর চরিত্র হনন মূলক বিজ্ঞাপন কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ করে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে সেসব খবর বহু আগেই একটি জাতীয় দৈনিক ও একটি জাতীয় অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। মাওলানা সাদেকের সৎ-সাহস থাকলে ঐসব পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক্। তা না-করে আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হলো। আমি যথাযথ পক্রিয়ায় বিষয়টি ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তাছাড়া এতে আমার এবং আমার পরিবারের মান-মর্যাদার যথেষ্ট হানি হওয়ায় আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এতদ বিষয়ে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাওলানা সাদেক স্বাক্ষরিত তাদের সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়ে চিন্তিত। তারাও যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইনজীবীদের সাথে শলাপরামর্শ করা শুরু করেছে। অবিলম্বে তারা মাওলানা সাদেকের বিরুদ্ধে মামলা করছে মর্মে এই প্রতিবেদককে অবহিত করেছে।