
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : মহামারী রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। তারই জের ধরে এর সংক্রমণ এড়াতে আজ রবিবার গোটা ভারতজুড়ে সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পালন হতে যাচ্ছে গণকারফিউ।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশবাসীর কাছে সময় চেয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথম পর্যায়ে ১৪ ঘণ্টা। গত বৃহস্পতিবার এ ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে জনতার কাছে স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন মোদি। বলেছিলেন, সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতেই মানুষের স্বার্থে ওই জনতা কারফিউ ডাকা হয়েছে।
তবে সে ক্ষেত্রে ১৪ ঘণ্টা যথেষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই মতে, সিঙ্গাপুরের মতো দেশ যেমন টানা লকডাউনের পথে হেঁটে সাফল্য পেয়েছে, সে পথই বেছে নিতে হবে ভারতকে। দরকারে পরপর কয়েক দিন ধারাবাহিক লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে ভারতকে।
আইসিএমআরের কর্মকর্তা রমন গঙ্গাখেদকরের কথায়, রবিবার জনতা কারফিউর ফলাফল বিশ্লেষণ করলে অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। বোঝা যাবে, কোথায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। কোন ক্ষেত্রে আরও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ভবিষ্যতে এক সঙ্গে পরপর টানা কয়েক দিন লকডাউনের সিদ্ধান্ত আজকের পরে নেওয়া হতে পারে। কারণ ভারতের মতো জনঘনত্বের দেশে সম্পূর্ণ লকডাউন না হলে ওই সংক্রমণ কখনই এড়ানো সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই প্রয়োগের ভুল-ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে আরো বড় মাপের লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে ভারত সরকার। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা