
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : কুলাউড়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে এখনো টনক নড়েনি কতৃপক্ষের। যে কোনো সময় আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে। অস্থায়ীভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও এখন পর্যন্ত ব্রিজের নিচে পড়ে রয়েছে গত রবিবার দুর্ঘটনাকবলিত উপবন ট্রেনের বগি।
এদিকে গত তিনদিনের প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢল নিচের দিকে নামছে। এতে অন্যান্য ছড়ার মতো কুলাউড়া উপজেলার বরমচালের বড়ছড়া দিয়ে পানির প্রবল স্রোত হাকালুকিতে নামছে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গত রবিবার দুর্ঘটনাকবলিত উপবন ট্রেনের বগি। ব্রিজের নিচে হেলে পড়ে যাওয়া সেই বগিটি সেখান থেকে অপসারণ না করায় অনেকটা বাধের মতো পানি প্রবাহে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানির স্রোত বগিতে ধাক্কা খেয়ে ব্রিজের পাশের মাটিতে আঘাত হানছে। এতে ব্রিজটি যে কোন সময় ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ব্রিজটি হুমকিতে থাকায় ওই ব্রিজ দিয়ে রেল চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে সিলেটের সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তনগর পাহাড়িকা ট্রেনটি দুপুর ২টা ৫০মিনিট থেকে বরমচাল স্টেশনে আটকা পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কয়েকশো ট্রেনযাত্রী। জানা গেছে, টানা বৃষ্টির প্রবল স্রোতে বড়ছড়া ব্রিজের নিচ থেকে মাটি সরেছে এমন ধারণা বরমচাল স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলামের। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল, শমশেরনগর এলাকায় রেললাইনে পানি উঠেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় বড়ছড়া ব্রিজ ও রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য কোন ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না তারা। যে কারণে বরমচাল স্টেশনে পাহাড়িকা ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি মাস্টার শফিকুল ইসলাম ঢাকা কন্ট্রোল রুমকে জানিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে পিআইডব্লিউ না বলা পর্যন্ত ট্রেন ছাড়া যাবে না। এদিকে পিআইডব্লিউর কাউকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান স্টেশন মাস্টার। কুলাউড়া কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার মাজহারুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু স্থানে রেল লাইনের উপর পানি উঠে গেছে। তাছাড়া বড়ছড়া ব্রিজের নিয়েও সন্দেহ হচ্ছে। হতে পারে প্রবল স্রোতে নিচ হতে মাটি সরেছে। তাই ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) জুলহাস এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।