মধ্যরাতে ছিন্নমূল অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য এবং ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। রোববার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর পান্থপথ-সংলগ্ন আশপাশের এলাকায় শ্রমিক, পথচারী, রিকশা ও ভ্যানচালকদের মাঝে এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক একে এম আফজালুর রহমান বাবু।
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শেষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মহামারি করোনাকালীন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কেউ যেন খাবারে কষ্ট না করে এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ত্রাণ বিতরণ করছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। এ সময় তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে নিজ নিজ এলাকায় লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কমপক্ষে ১০ জনকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আহ্বান করেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ভয়কে জয় করে করোনা মহামারির শুরু থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারাদেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রিয় নেত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কেউ যেন না খেয়ে থাকে সেজন্য আমাদের নেতাকর্মী ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা মাইকিং, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও করোনা প্রতিরোধে বুথ সার্ভিস কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার থেকে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালু হবে। করোনা রোগী ও লাশ বহনের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হয়েছে। করোনা রোগীর লাশ গোসল, জানাজা, দাফন ও সৎকার টিমগুলোকে সচল রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, তানভীর আক্তার শিপার, মেহেদী শিকদার, আবু জাফর, ফয়সাল হোসেন ও আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
