Home জাতীয় পল্লবীর বিএনপি নেত্রী শাহজাদীকে রাজনৈতিকভাবে দমাতে কুচক্রী মহলের মরিয়া অপচেষ্টা: ৫ লক্ষ...

পল্লবীর বিএনপি নেত্রী শাহজাদীকে রাজনৈতিকভাবে দমাতে কুচক্রী মহলের মরিয়া অপচেষ্টা: ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ ও মিথ্যা সংবাদের তীব্র

20
0
SHARE

প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর দুঃসময়ের নিবেদিত প্রাণ ও রাজপথের সাহসী নেত্রী শাহজাদীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একের পর এক মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি এসব বানোয়াট সংবাদ বন্ধ করার বিনিময়ে তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
গত ১ ডিসেম্বর ‘দৈনিক সময়ের আওয়াজ’ নামক একটি পত্রিকায় “গরুর ভুঁড়ি বিক্রি থেকে কোটিপতি: পল্লবীর শাহজাদীর ‘আলাদীনের চেরাগ’ মাদক” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর আগেও পত্রিকাটির মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাকে লক্ষ্য করে আরও দুটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিডিও প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে শাহজাদীকে পল্লবীর একজন ‘শীর্ষ মাদক কারবারি’ হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং খোদ ভুক্তভোগী নেত্রী।
ভুক্তভোগী শাহজাদীর অভিযোগ, এই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করার বিনিময়ে একটি চক্র তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। তাকে হুমকি দেওয়া হয় যে, যদি তিনি ৫ লক্ষ টাকা না দেন, তবে তার বিরুদ্ধে এই ধরনের মানহানিকর সংবাদ ও ভিডিও প্রচার অব্যাহত রাখা হবে। শাহজাদী এই অনৈতিক ও বেআইনি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং টাকা দিতে অস্বীকার করায় চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে একের পর এক বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে।
এই অপপ্রচারের বিষয়ে শাহজাদী তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি জন্মলগ্ন থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনামলে আমার ওপর নানাভাবে জুলুম চালানো হয়েছে। এখন যখন দেশ এক ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে, তখন আবার নতুন করে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার শুরু করেছে। তারা আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিল সংবাদ বন্ধ করার জন্য। আমি পরিষ্কার বলে দিয়েছি, আমি কোনো অপরাধের সাথে জড়িত নই, তাই কাউকে এক টাকাও দেব না। আর এই টাকা না দেওয়ায় তারা এখন আমার বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “মাদক ব্যবসার মতো একটি ঘৃণ্য অপরাধের সাথে আমার নাম জড়ানো কেবল একটি রাজনৈতিক প্রতিশোধ। অতীতে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে বিকৃতভাবে এবং নতুন সাজে উপস্থাপন করে তারা আমাকে জনগণের কাছে অপরাধী বানাতে চায়। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং খুব শীঘ্রই এই অপপ্রচারকারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।”
শাহজাদী জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি করার অপরাধে তিনি বারবার রোষানলের শিকার হয়েছেন। ২০২১ এবং ২০২৩ সালে তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দুটি সাজানো মামলা দায়ের করা হয়। সেই সময় তাকে তার কোলের দুগ্ধপোষ্য শিশু রেখে জেল খাটতে হয়েছিল, যা একজন মায়ের জন্য ছিল চরম অমানবিক। পল্লবী থানার স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই ত্যাগী নেত্রীর সংগ্রামের গল্পের সাক্ষী।
পল্লবী থানার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, শাহজাদী দীর্ঘ বছর ধরে এলাকায় নারী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি এলাকায় একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেত্রী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ সংবাদ এবং চাঁদা দাবির বিষয়টি মূলত তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তিকে দুর্বল করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।
এলাকার সাধারণ জনগণ ও সচেতন মহলের মতে, শাহজাদী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। চাঁদা না দেওয়ায় একজন নেত্রীর সম্মানহানি করার এই অপচেষ্টা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। প্রকাশিত সংবাদের কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে শাহজাদী এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে এই মিথ্যা সংবাদ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা আইনগত পদক্ষেপের মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠিত করবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই চাঁদাবাজ ও ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।

image_pdfimage_print