Home ক্যাম্পাস খবর ১৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ- মতলব উত্তরে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতির...

১৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ- মতলব উত্তরে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতির প্রথম দিন

34
0
SHARE

শামসুজ্জামান ডলার, মতলব উত্তরঃ
১০ম গ্রেডসহ ৩ দফা দাবি আদায় ও ঢাকার শাহবাগে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রবিবার (৯ নভেম্বর) থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন সহকারী শিক্ষকরা। ফলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১৮০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়েগেছে।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জামাল হোসেন জানান, উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রয়েছে তবে সহকারী শিক্ষকরা তাদের দাবি দাওয়ার আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।

শিক্ষকদের দাবির মুখপাত্র প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও
কেন্দ্রীয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি  মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ এক বিবৃতিতে বলেন, “শাহবাগে নিরীহ শিক্ষকদের ওপর অতর্কিত হামলা, রাবার বুলেট, জলকামান, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে শত শত শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার ওপর চাপানো হয়েছে। তাই তাদের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।”
তিনি আরো জানান, ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবেন।
আন্দোলনে অংশ নিয়ে শাহবাগে পুলিশী হামলার শিকার হওয়া মতলব উত্তর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন জানান, পুলিশের হামলায় আমাদের মতলব উত্তর উপজেলার সহকর্মী ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আব্দুল হালিম, ছোট চরকালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রফিকুল ইসলাম, তালতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফরিদ আহমেদ, ফরাজীকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাহনাজ আক্তার, লুধুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আব্দুর রাজ্জাক, আবুরকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোহিনুর আক্তার সহ আরো কয়েকজন আহত হয়। আমি নিজেও কিছুটা আহত কিন্তু নেতৃত্বে থাকার কারণে আমার মাঠে না থাকার কোনো সুযোগ নেই। কেননা, এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। এই লড়াইয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি আরো জানান, দেশে সহকারী শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন থাকলেও সকলে মিলে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। তা ১০ম গ্রেডে করার দাবিতে এখন আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকেরা।

image_pdfimage_print