
পরিক্রমা ডেস্ক : আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের ৮ম আসর। অস্ট্রেলিয়ার গিলংয়ে সাইমন্ডস স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হবে ‘এ’ গ্রুপের দু’দল শ্রীলঙ্কা ও নামিবিয়া।
দিনের আরেক খেলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি মিশন শুরু হবে আগামী ২৪ অক্টোবর। বাংলাদেশ সরাসরি সুপার টুয়েলভ খেলবে।
গ্রুপ ‘এ’ থেকে যারা রানারআপ হবে, তাদের সঙ্গে প্রথম ম্যাচটি খেলবে টাইগাররা। অস্ট্রেলিয়ার ৭টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে ১৬টি দল। ১৬ দলের মোট ৪৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ টুর্নামেন্ট।
এর আগে গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আসরে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল অ্যারন ফিঞ্চের দল। ৫০ বলে ৭৭ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলে সেদিন জয়ের নায়ক ছিলেন মিচেল মার্শ। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে খেলবে ৮টি দল। সুপার টুয়েলভে সরাসরি জায়গা পায়নি বর্তমান এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাও।
বাকি দলগুলো হচ্ছে : নামিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায় আগেই সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নেয়া আট দল হচ্ছে : অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। আগামী ২২ অক্টোবর শুরু হবে সুপার টুয়েলভের খেলা।
সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে সিডনিতে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। দিনে অন্য খেলায় পার্থে খেলবে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান। গত বছর খুব বেশি ফেভারিট ছিলেন না অস্ট্রেলিয়া। তবুও এশিয়ার মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার ঘরের মাটিতে খেলবেন অ্যারন ফিঞ্চরা।
তবে অস্ট্রেলিয়াই একমাত্র নয়, ফেভারিটের তালিকায় থাকছে ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল ইংল্যান্ডের। সে সিরিজেও অজিদের হারিয়েছে ইংলিশরা। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে পাকিস্তান।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বশেষ রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডেরও আছে ভালো সম্ভাবনা। আর বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মার ভারতীয় দলে আছে টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞের ছড়াছড়ি। সেজন্য অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্বাগতিকরা ছাড়াও হটফেভারিট নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড।
এসব দেশ ফেভারিট হলেও বাংলাদেশের অবস্থা খুব বেশি ভালো না। সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে সবগুলো ম্যাচই হেরেছে টাইগাররা। চলতি বছরে সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৪টি জয় আছে টাইগারদের।
বর্তমানে দলীয় পারফরম্যান্সও খুব বেশি ভালো নয়। এর আগে ২০০৭ সালে শুরু হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। প্রথম আসরেই পাকিস্তানকে হারিয়ে সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ২০০৯ সালে পরের আসরটি বসে ইংল্যান্ডে। সেবার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রথম আসরে রানার্সআপ হওয়া পাকিস্তান।
তৃতীয় আসরে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। চতুর্থ আসরের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৪ সালে ৫ম আসরে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা।
পরের আসরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বশেষ আসরে গতবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। এবার ৮ম আসরটি শুরু হচ্ছে কাল থেকে। এবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।