বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আত্মসমর্পণ করছেন।
অনুষ্ঠানস্থল টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। চলছে মাইকিং। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আলোচিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানটি হবে সকাল ১০টার দিকে। এ নিয়ে সীমান্ত এলাকার মানুষের মাঝে কৌতূহলের শেষ নেই।
অপরদিকে অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে যেন দম ফেলার ফুরসত নেই পুলিশ প্রশাসনে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করছেন। কোথাও কোনো ত্রু টি যেন না থাকে সে চেষ্টা করছেন। তাছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টি তো রয়েছেই।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ ছাড়া আইজিপি ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন এতে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক এবং এর আগের দিন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান।
টেকনাফ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান সফল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান সফল করতে সহযোগিতা কামনা করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
এদিকে শেষ মুহূর্তে নতুন করে আর কোনো ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণে যাচ্ছেন তা নিয়ে মানুষের মাঝে কৌতূহলের শেষ নেই। ইতিমধ্যে এমপি বদির ৩ ভাই, ভাগিনা, ফুফাতো ভাইসহ ৭ জন আত্মসমর্পণের জন্য সেফহোমে রয়েছেন।
এ ছাড়া শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী কক্সবাজারের সেফহোমে আছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। যাদের অনেকের নাম রয়েছে ৭৩ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায়।
টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা জানান, সকালে কক্সবাজার পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকা শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসা হবে।
২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উদ্ধার করা ইয়াবা ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। পরে মিডিয়াকর্মীসহ সবার উপস্থিতিতে তা ধ্বংস করা হবে।
