
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সশস্ত্র শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পরই তোপের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোলাইমানির ওপর ট্রাম্পের এই আক্রমণকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে খোদ মার্কিন কংগ্রেস। এমনকি মার্কিন কংগ্রেসকে কিছু না জানিয়েই সোলাইমানিকে হত্যা এবং এত বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়াকে বস্তুতপক্ষে কংগ্রেসকে অবমাননারই শামিল বলে মনে করছে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদবর্গ।
আর তাই এমতাবস্থায় ট্রাম্প যাতে ইরানের ওপর কোনও ধরনের যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে না পারে সেজন্য ট্রাম্পের সামরিক ক্ষমতা কমানোর পথে হাঁটকে মার্কিন প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে প্রতিনিধি পধে আজ ভোট হবে। ভোটে ট্রাম্প পরাজিত হলে কমবে তার সামরিক ক্ষমতা। তখন চাইলেও এককভাবে ইরানের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে পারবেন না ট্রাম্প।
গতকাল বুধবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এ ভোটের ঘোষণা দেন। এদিকে গতকাল ভোরে সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধের অংশ হিসেবে ইরাকে অবস্থিতি দুটি মার্কিন সামকির ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর পরই এমন ঘোষণা দেন ন্যান্সি।
তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব। ইরানে বিরুদ্ধে তাই যুদ্ধ ঘোষণার ব্যাপারে ট্রাম্পের এততরফা ক্ষমতা হ্রাসের প্রস্তাব আনা হবে।’
আর এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হচ্ছে প্রতিনিধি পরিষদের নারী সদস্য এলিসা স্লটকিনের নেতৃত্বে।
ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘ট্রাম্পের একগুয়ে কর্মকাণ্ড মার্কিন সেনাবাহিনী, কূটনীতিক ও অন্য বেসামরিক লোকজনকেও ঝুঁকির মুখে এগিয়ে দিয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত ৩ জানুয়ারি কুদস ফোর্স প্রধান ও ইরানের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায়
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধ চলছে। ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দিচ্ছে ইসরায়েল।