
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপ ফাঁস করেন এক সিআইএ কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা একসময় হোয়াইট হাউজে কাজ করতেন। হোয়াইট হাউজ ওই ফোনকলের তথ্য প্রকাশ করতে চাইছিল না। একটি সূত্র তাকে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও জানার চেষ্টা করছেন, কোন ব্যক্তি সিআইএ কর্মকর্তাকে তথ্য জানিয়েছিলেন। খবর বিবিসির।
নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফোনালাপ ফাঁসকারী ব্যক্তিটি (হুইসেলব্লোয়ার) সিআইএ কর্মকর্তা। তবে তার নাম জানা যায়নি। তার আইনজীবী সতর্ক করেছেন, নাম প্রকাশ করাটা ক্ষতিকর হবে।
ফাঁসকৃত একটি অডিওতে শোনা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই সিআইএ কর্মকর্তার কাছে হোয়াইট হাউজের তথ্য ফাঁসকারী ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন। জাতিসংঘে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটা জানার চেষ্টার করেন। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসে এই রেকর্ড প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি সিআইএ কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, অতীতে এসব গুপ্তচরের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা সবারই জানা।
উল্লেখ্য, এর আগে এরকম অনেক গুপ্তচরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্টের এই ধরনের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।
কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, আশঙ্কা যে প্রেসিডেন্ট ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক কোনও ব্যবস্থা নেন কি না।
গত ২৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তাতে তিনি সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার কথা বলেন। না হলে তিনি ইউক্রেনকে আর্থিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দেন। ফোনকলের ধারণ করা অংশ গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ।
এতে দেখা যায়, ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি এবং মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের সঙ্গে সমন্বয় করে এই তদন্তকাজ করতে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছেন।
জো বাইডেন ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন। বাইডেনের বিরুদ্ধে বিদেশি সরকারকে তদন্তের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিনিধি পরিষদের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পকে অভিশংসনের মুখে পড়তে হতে পারে। যদিও সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় ট্রাম্প অভিশংসিত হবেন না।