
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, তাজিয়া মিছিলে ঢাক-ঢোলসহ কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া ধারালো অস্ত্র, ধাতব ও দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, পোটলা, লাঠি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় পুরান ঢাকার হোসনী দালান ইমামবাড়া পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। মহররমের ৬ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নি-িদ্র নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইমামবাড়ার গেটে তল্লাশি হবে। ধাতব বস্তু, ছোরা, তরবারি বর্শা বা কোনো ধরনের আগুন ব্যবহার করা যাবে না। ইতিমধ্যে আমরা চেকপোস্ট স্থাপন করেছি। তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবে ১০ মহররমে বড় তাজিয়া শোক মিছিল হবে। সুদৃঢ়, সমন্বিত ও কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যদিয়ে পালিত হবে তাজিয়া শোক।
সে লক্ষ্যে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি ইমামবাড়া সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে প্রত্যেক দর্শনার্থীর দেহ তল্লাশি করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করানো হবে। ডিএমপির ডগস্কোয়াড ও স্পেশাল ব্রাঞ্চ অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থল সুইপিং করবে। যেসব রুট দিয়ে শোক মিছিল যাবে সেসব ? রুটে থাকবে রুফটপ ডিউটি, রোড ব্যারিকেড ব্যবস্থা, গাড়ি ও ফুট পেট্রলিং।
মিছিলের আগে, মাঝে, পাশে ও পেছনে থাকবে পুলিশের নিরাপত্তাব্যবস্থা। শোক মিছিলের নিরাপত্তায় সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আগে তাজিয়া মিছিল কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা থাকলেও বর্তমানে সুশৃঙ্খলা এসেছে।