Home জাতীয় তাপমাত্রা কমছে, ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ

তাপমাত্রা কমছে, ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ

51
0
SHARE

কনকনে ঠাণ্ডা, ঘন কুয়াশার সঙ্গে যোগ হয়েছে শীতল বাতাস। সব মিলিয়ে রাতের তাপমাত্রা কমছে দেশের সর্বত্র। গতকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ খুব দ্রুত রাজধানীর দিকে ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। গত বছর মধ্য জানুয়ারিতে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমেছে চারের ঘরে। পূর্বাভাস বলছে- এ মাসেই কমপক্ষে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।

আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গতকাল থেকে পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, নওগাঁ দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। মেঘমুক্ত আকাশ এবং উত্তর দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা বিভাগের তাপমাত্রা আজ থেকে কমতে শুরু করবে। আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে সারাদেশের তাপমাত্রা কমবে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি আর ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলা হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি যা তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। জানুয়ারিতে ঘন কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কাও করছে সংস্থাটি। দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা ও অন্যত্র হালকা বা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কখনো কখনো অব্যাহত থাকতে পারে দুপুর পর্যন্ত। দৈনিক বাষ্পীয়ভবন হবে ২ দশমিক ২৫ থেকে ৩ দশমিক ২৫ মিলিমিটার। আর সূর্যকিরণের কার্যকাল বেড়ে হবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। আগামী পাঁচ দিন রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে। আর এতে শিগগির দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শৈত্যপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তথ্য-উপাত্ত বলছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারির সঙ্গে ২০১৮ সালের তুলনা করলেই আবহাওয়ার পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। গত বছর জানুয়ারির প্রথম ১৫ দিনেই সারাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। গতবারের তুলনায় চলতি বছর একই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। ফলে এবার যে গতবারের তুলনায় আরও ভয়াবহ শীত পড়বে তা স্পষ্টভাবেই বলা যায়।

শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যায় উত্তরবঙ্গে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামে ব্যাপক শীত পড়ে। নভেম্বরের শেষ দিক থেকে এসব অঞ্চলে প্রায় সারাদিনই সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না।

image_pdfimage_print