
তৃতীয় দিনের মতো চলছে নরসিংদীতে পাটকল শ্রমিকরাদের আন্দোলন। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে শ্রমিকরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছে। ৩৬ ঘণ্টার আন্দোলনে হারুনুর রশিদ ও দুলাল মিয়া নামে দুই শ্রমিক গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, শ্রমিক আন্দোলনের ফলে মিলের সকল ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। মজুরী কমিশনসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বাংলাদেশ পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদ ডাকে ইউএমসি জুট মিলের শ্রমিকরা মিল গেইটের সামনে এ আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শ্রমিকরা। অনশনে ইউনাইটেড-মেঘনা-চাঁদপুর (ইউএম সি ) জুট মিলের স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক রয়েছে।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর থেকে আমরণ আন্দোলন শুরু করেন। টানা ৫দিন আন্দোলনের পর আলোচনার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করে কাজে যোগ দেয় শ্রমিকরা।
এসময় ইউএমসি জুট মিলের সিবিএর সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কামাল মিয়া, কাউছার আহাম্মেদ, সুমন খন্দকার, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, নন সিবিএ পরিষদের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, মোশারফ হোসেন, কাউযুম প্রধান, শামসুল আরেফিন, ইসা হাবিব রিপন সরকারসহ ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ শ্রমিকরা অনশনে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিক নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘরে চাল নেই। বাজার নেই। সন্তানদের মুখে দু-মুঠো ভাত ঠিক মতো তুলে দিতে পারছিনা। তাই বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে আন্দোলনে নেমেছি। সরকার সকল সরকারী চাকুরীজীবিদের বেতন ভাতা বদ্ধি করেছে। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন বাড়ায়নি। আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের প্রতি এমন বৈষম্য কেন?
ইউএমসি জুট মিলের সিবিএর সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন চলছে। এখনো পযর্ন্ত প্রশাসন বা সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোন প্রকার খোঁজ খবর নেয়নি। এরই মধ্যে আমাদের দুই শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।