Home ব্রেকিং ত্রাণ বিতরণে শীর্ষ তালিকায় কামরুল হাসান রিপন

ত্রাণ বিতরণে শীর্ষ তালিকায় কামরুল হাসান রিপন

35
0
SHARE

করোনার করাল গ্রাস পৃথিবীজুড়ে। কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছেনা পরিস্থিতি। বাংলাদেশেও বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। আর এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্র, দিনমজুর, কর্মহীন, সুবিধাবঞ্চিত সাধারণ মানুষগুলো।
করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর থেকেই এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বেসরকারী ভাবেও সহায়তা করা হচ্ছে এসব মানুষদের। এই সময়ে অসহায়, সাধারণ, কর্মহীন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনও। দল ও সংগঠনের পক্ষে যেমনভাবে সহায়তা করছেন তেমনি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও এসব মানুষের সেবা করে চলেছেন সাবেক মেধাবী এই ছাত্রনেতা।

বাংলাদেশে লকডাউন শুরুর প্রায় দুই মাস হতে চলেছে। তবে কামরুল হাসান রিপন তারও আগে থেকে মানবিক কাজ করে চলেছেন। বিনামূল্যে সুরক্ষা মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে শুরু করে প্রতিদিনই হতদরিদ্র, মেহনতি মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তথা, চাল, ডাল, তেল, লবণ, পেয়াজ, চিনি, সাবান ইত্যাদি বিতরণ করে চলেছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এসব কাজ করছেন তিনি। রমজানের প্রথম দিন থেকে ইফতার বিতরণ কর্মসূচীও করছেন কামরুল হাসান রিপন। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৮০০ রোজাদার মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করে চলেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এই কাণ্ডারী।

শুধু তাই নয়, রাতের আঁধারেও হতদরিদ্র-অসহায় পরিবার খুঁজে, খুঁজে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের নজীর গড়েছেন কামরুল হাসান। সেইসঙ্গে মুখ ফুটে বলতে না পারা পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতা। নিজের দলের অসহায় কর্মীদের ডেকে ডেকে এনে সাহায্য করছেন নিয়মিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে মেসেজ করলেও কিংবা কোন অসহায় পরিবারের সন্ধ্যান পেলেও তিনি তার কর্মীদের মাধ্যমে তৎক্ষণাত খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন!
গত দুইমাসেরও বেশি সময় এভাবে মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়ানো কামরুল হাসান রিপনের বাড়িতে এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দেখা যায় হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভীড়। ত্রাণের আশায় দূর-দুরান্ত থেকে এখানে আসছেন তারা। কামরুল হাসান রিপন সাধ্যমতো সবাইকেই সহযোগীতা করছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দিয়ে।

রমজান মাসে রোজা রেখে পায়ে হেটে কষ্ট করে এসে যখন দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খাবারগুলো পাচ্ছেন তখন তাদের চোখে-মুখে দেখা যায় প্রাপ্তির অসাধারণ এক ঝিলিক। অন্যরকম তৃপ্তির হাসি নিয়েই ফিরে যান তারা। তাদের মধ্যেই ষাটোর্ধ একজন খাদ্যসামগ্রী পেয়ে দোয়া করেন কামরুল হাসান রিপনের জন্য। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া কইরা যাই, ওনাকে অনেক দিবে। আল্লাহ তার মনের আশা পূরণ করুক।’
কামরুল হাসান রিপন সেবক হয়েই বেঁচে থাকতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও গরীব মানুষ। কিন্তু আল্লাহ আমাকে একটা মন দিয়েছেন। সাধ্যমতো মানুষের সেবা করছি। এটা আমার জন্য একটা সুযোগ।’
ইতোমধ্যেই প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন কামরুল হাসান রিপন। ঈদের আগের এই কদিন আরও তিন হাজার পরিবারের জন্য খাদ্য-সামগ্রী প্রস্তুত করছেন তিনি। সৎ, পরিশ্রমী এবং সুদক্ষ সংগঠক কামরুল হাসান রিপন সবার কাছে দোয়া চান। যেন এভাবেই সেবা করে মানুষের মাঝে বেচে থাকতে পারেন।

image_pdfimage_print