
পরিক্রমা ডেস্ক: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সোমবার সকাল ৮টায় এ দুই সিটিতে ভোট শুরু হয়। নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন উপলক্ষে দুই সিটিতে ছিল সাধারণ ছুটি।পরিক্রমা ডেস্ক:
বড় ধরনের অনাকাঙিক্ষত ঘটনা ছাড়া শেষ হলো খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এখন চলছে ভোটের ফল গণনা।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সোমবার সকাল ৮টায় এ দুই সিটিতে ভোট শুরু হয়। নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন উপলক্ষে দুই সিটিতে ছিল সাধারণ ছুটি।
বরিশাল সিটিতে ভোটের কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এই সিটির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করীমসহ তার অন্তত সাত কর্মী।
এই প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর কর্মীর তাদের ওপর হামলা করেছেন। এতে ফয়জুল করীমের নাম ও ঠোঁট ফেটেছে।
বরিশাল সিটির ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ও পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর খুলনা সিটিতে ভোটের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ছাড়া তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর পাইওনিয়ার স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেয়া শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ আশার কথা জানান। খালেক বলেন, ‘ইনশাল্লাহ জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত।’
ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে আগেই শঙ্কার কথা জানান জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) বলেছেন, ভোট এরকম চললে তিনি অবশ্যই জয়যুক্ত হবেন। তিনি বলেন, ভোটের ফল যাই হোক, তিনি মেনে নেবেন, হেরে গেলেও বিজয়ী প্রার্থীকে স্বাগত জানাবেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে ফল মেনে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নামা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আমরা আন্দোলন করব, আদালতের দ্বারস্থ হব।’
সার্বিক পরিস্থিতিতে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে কল্পনার বাইরে ভোটার উপস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
তিনি বলেন, ‘সিইসিসহ আমরা প্রত্যেকটা সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করছি। সকাল থেকে এত বেশি ভোটার উপস্থিতি কল্পনার বাইরে। আমাদের শান্তি দিয়েছে এটা যে, কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা ভোটারদের আশ্বস্ত করেছে এবং তাদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় আড়াই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আহসান হাবিব খান ওই কথা বলেন।
খুলনা সিটির ২৮৯টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি বুথে ভোটগ্রহণে প্রায় ৩ হাজার ইভিএম ব্যবহার হয়। আর বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৩০টি ওয়ার্ডে ৮৯৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য দেড় হাজার ইভিএম বরিশালে পৌঁছে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দুই সিটিতে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিলেন ভোটগ্রহণকাজে দায়িত্বপ্রাপ্তরা