
মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল: গতবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের কাছে ৮ রানে হেরেছে খুলনা টাইটানস। চিটাগং ভাইকিংসের কাছে হেরে শুরু করা রংপুর দ্বিতীয় ম্যাচে পেল জয়ের দেখা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৬৯ রান করে রংপুর। খুলনা ৫ উইকেটে থামে ১৬১ রানে।
রাইলি রোসো টপ অর্ডারে উপযুক্ত সঙ্গ পাননি বলে রানের চাকা সচল ছিল না রংপুরের ইনিংসের শুরুতে। কিন্তু রবি বোপারাকে পেতেই জ্বলে ওঠেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার। ১০৪ রানের জুটি গড়েন দুজনে। শেষ ৫ ওভারে ৬৭ রান জমা করেন স্কোরবোর্ডে।
তবে রোসোর ৭৬ রানের জবাব ভালোভাবে দেন স্টারলিং। জুনায়েদ সিদ্দিককে নিয়ে শুরু থেকে রংপুর বোলারদের ওপর চড়াও হন খুলনার এই ওপেনার। আইরিশ ব্যাটসম্যানের আগুন ঝরা ব্যাটিংয়ে পাত্তা পাননি মাশরাফি মুর্তজার বোলিং আক্রমণভাগ। ১১.১ ওভারে ৯০ রানের এই জুটি ভাঙেন বেনি হাওয়েল। জুনায়েদ ৩৩ রানে বিদায় নেন।
তারপর টানা দুই ওভার আরো দুটি উইকেট হারায় খুলনা। ৩৮ বলে হাফসেঞ্চুরি করা স্টারলিং আউট হন ৬১ রান করে। ৮ চার ও ১ ছয়ে সাজানো ছিল তার ৪৬ বলের ইনিংস। মাশরাফির কাছে বোল্ড হন স্টারলিং।
১০৮ রানে ৩ উইকেট হারানো খুলনাকে এগিয়ে নিতে থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল হক। ২.১ ওভার বাকি থাকতে ৩২ রানের এই জুটি ভেঙে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান ফরহাদ রেজা। মাহমুদউল্লাহর (২৪) দারুণ ক্যাচ ধরে ব্রেকথ্রু আনেন ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া মাশরাফি।
পরের ওভারে আরিফুল ১২ রানে শফিউল ইসলামের শিকার হন। এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি খুলনা। শেষ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল, ক্রিজে ছিলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ও জহুরুল ইসলাম। ফরহাদের ওই ওভারে আর পেরে ওঠেনি তারা প্রয়োজনীয় রান করতে, ১১ রান আসে।