
পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ২৩ জুলাই ২০২৩ এ অনুষ্ঠিত হলো ‘দক্ষিণ এশিয়ার নদী: কানেকটিং ইকোলজি, পিপল অ্যান্ড গভর্নেন্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন সমাপনী অনুষ্ঠান। এনএসইউ’র সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি), ইউনিভার্সিটি ব্রুনাই দারুসসালামের (ইউবিডি) কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ (এফএএসএস), এবং ন্যাশনাল রিভার কনজারভেশন কমিশন (এনআরসিসি), বাংলাদেশ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনটিতে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্লেষক, নীতিনির্ধারক, গবেষক এবং অনুশীলনকারীদের মধ্যে আন্তঃবিভাগীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এই অঞ্চলের নদী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলি সম্পর্কে জ্ঞান বিনিময়ের একটি অপরিহার্য মাধ্যম তৈরি হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। ড. আলম আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নদী ও বদ্বীপ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সক্রিয় ও দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন। তিনি দেশের জন্য পানি নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতির ওপর জোর দেন এবং টেকসই নদী ব্যবস্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এনএসইউ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম ইসমাইল হোসেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সম্মেলনের আলোচনা বাংলাদেশের নদী নীতি সম্পর্কে প্রকৃত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে। তিনি উপস্থিত শিক্ষাবিদদের দেশের ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান পরীক্ষা করে এর কার্যকারিতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
ভারতের গুয়াহাটির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক অরূপজ্যোতি সাইকিয়া এতে ‘রিভারস এস হিস্টোরিক্যাল অ্যাকটরস এলং দ্য স্কাইলাইন অব দ্য ইস্টার্ন হিমালয়া এন্ড দ্য বে অব বেঙ্গল’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক সাইকিয়া বলেন, “কার্যকর নদী ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলির একটি বিস্তৃত বোঝাপড়া প্রয়োজন এবং এটি কেবল তখনই সম্ভব যদি স্টেকহোল্ডাররা প্রধানত রাজ্য-কেন্দ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বের হয়ে আসতে পারে।”
সমাপনী অনুষ্ঠান এসআইপিজি’র পরিচালক ও এনএসইউ’র রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস কে. তৌফিক এম হক সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সানপা) এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সহযোগী অংশীদার, যার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ২২ জুলাই ২০২৩।