
পরিক্রমা ডেস্ক : আজ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) সপ্তম আইএইচএসএ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘হিউম্যানিটেরিয়ানিজম ইন চেঞ্জিং ক্লাইমেটস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (এসআইপিজি) সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস) এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটারিয়ান স্টাডিজ অ্যাসোসিয়েশন (আইএইচএসএ) যৌথভাবে আয়োজনে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে মানবতাবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে জটিল পারস্পরিক সম্পর্ক অন্বেষণ করতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হয়েছেন।
এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএইচএসএ’র প্রেসিডেন্ট ও ইরাসমাস ইউনিভার্সিটির
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল স্টাডিজের অধ্যাপক ডরোথিয়া হিলহর্স্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিএডি) উপ-পরিচালক অধ্যাপক মিজান আর খান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিএসএস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, সিপিএসের সদস্য ও কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের
পরিচালক ড. বুলবুল সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সিপিএস ও এসআইপিজি’র পরিচালক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন প্রফেসর ড. তৌফিক এম হক।
অধ্যাপক ডরোথিয়া হিলহর্স্ট বলেন, “আজকের জটিলতাপূর্ণ বিশ্বে মানবতাবাদ নিয়ে গবেষণা আগের চেয়ে অনেক বেশি
জরুরি। আমাদের অবশ্যই মানবতাবাদের কার্যক্রম, নীতি এবং বিস্তৃত প্রেক্ষাপটের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বুঝতে হবে।”
অধ্যাপক মিজান আর খান বলেন, “পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
আইএইচএসএ সম্মেলনে ছয়টি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের মানবিক সংকট এবং এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। সম্মেলনে বৈশ্বিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে নীতি, শিক্ষা ও অর্থনীতির সঙ্গে মানবিক প্রয়াস কীভাবে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৯০ জন আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীসহ প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে এই সম্মেলনটি শেষ হবে ৭ নভেম্বর। হাইব্রিড ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা সরাসরি ও অনলাইনে অংশগ্রহণ করছেন।