Home ক্যাম্পাস খবর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘স্বরস্বতী পূজা-২০২৪’ উদযাপিত

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘স্বরস্বতী পূজা-২০২৪’ উদযাপিত

193
0
SHARE

পরিক্রমা ডেস্ক : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আজ ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা আর নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব স্বরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে।

সুর ও বিদ্যার দেবীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পনের মধ্য দিয়ে পূজার সূচনা হয়। এরপর মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পূজা উদযাপন আনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক জনাব মৃন্ময় চক্রবর্ত্তী। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মিসেস শীমা আহমেদ।  বিশেষ বক্তা এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুর রব খান ও স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিস এর পরিচালক ড. সাঈদ উজ জামান খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক দীপক কুমার মিত্র।

মৃন্ময় চক্রবর্তী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে সরস্বতী পূজা উদযাপনের প্রশংসা করেন। তিনি একটি সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের সকল ধর্মকে সম্মান করার পাশাপাশি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

মিসেস শীমা আহমেদ বলেন, আমাদের সবার জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে। জ্ঞান চর্চা আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিবছরের মত এবারও অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে স্বরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি লালন করে। আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

সবশেষে সন্ধ্যা আরতির মধ্য দিয়ে পূজার আয়োজনের সমাপ্তি হয়। এ সময় উৎসবকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী উল্লাস প্রকাশ করেন।

এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ, অভিবাবক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

image_pdfimage_print