
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জেলার চরভদ্রাসন থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলাটি করেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার নোয়াবুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইফুল ইসলাম।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন খানম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। নির্বাচনের সময় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নিক্সনের বিরুদ্ধে। এমনকি নির্বাচন কমিশন ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অতুল সরকারের কাছে কৈফিয়ত তলব ও তাকে গালাগাল করেন।
এরপর বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছিলেন ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সোমবার ইসিতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ১০ অক্টোবর চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার স্বার্থে নির্বাচন কমিশন এবং স্থানীয় সহকারী রিটার্নিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। এ বিষয় নিয়ে হুমকি, মিথ্যা, মানহানিকর ও অশালীন বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (স্বতন্ত্র) মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন), চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. কাউছার এবং তার অনুসারীরা। তাদের এহেন আচরণ উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
এর আগে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অতুল সরকার ওই ঘটনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানালে সেটি নির্বাচন কমিশনে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ অবস্থায় নিক্সনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা জানান মামলা করা হবে।
তবে গালিগালাজের যে অডিও ছড়িয়েছে, সেটি বানোয়াট বলে দাবি করেছেন মুজিবর রহমান চৌধুরী। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে সাংসদ দাবি করেন, তার বক্তব্যকে ‘সুপার এডিট’ করা হয়েছে।