
পরিক্রমা ডেস্ক: প্রমত্তা পদ্মা সাঁই করে পাড়ি দিয়ে মানুষ চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে; এবার সেই পথে খুলছে নতুন দুয়ার, যোগ হচ্ছে যোগাযোগের ভিন্ন মাত্রা। স্বপ্নের এ সেতু চালুর সঙ্গে সঙ্গে ঘুচেছে নদীতে ফেরি পারাপারের দীর্ঘ যুগের ভোগান্তি; জীবনযাত্রা আর অর্থনীতিতেও এসেছে গতি। দক্ষিণের মানুষ নতুন পথের সন্ধান পেয়েছেন। সেই পথে এবার শুরু হচ্ছে রেলের যাত্রা।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে এবার দক্ষিণবঙ্গের মানুষ চড়বে স্বপ্নের রেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা রেল জংশন স্টেশন অফিসার মো. শাজাহান মিয়া।
শাজাহান মিয়া জানান, ১ নভেম্বর থেকে খুলনা-ঢাকা সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন জনসাধারণের জন্য ছাড়া হবে এবং ২ নভেম্বর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস যোগ হবে। এতে দুটি ট্রেন চলবে বলে দিকনির্দেশনা পেয়েছি। তবে ভাড়া ও কখন ছাড়বে সেই বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। আমাদের অনলাইনে টিকিটের জন্য অনলাইন মেশিন এখনো রেডি হয়নি যার জন্য ভাড়া এবং টিকিটের বিষয়টি জানাতে পারছি না। দুই-একদিনের মধ্যেই জানা যাবে। মধুমতি এক্সপ্রেস খেলার বিষয়টি এখনো নির্ধারণ হয়নি।
ভাঙ্গা জংশন এলাকার এক বাসিন্দা আনোয়ারুল হক দিপু বলেন, ‘বহুদিনের স্বপ্ন আমাদের বাস্তবায়ন হয়েছে, আমরা ঢাকা-কক্সবাজার, যশোর, বেনাপোল, ভারতসহ দেশের সকল জেলায় সহজে যাতায়াত করতে পারব এটা আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য আশীর্বাদ এবং শেখ হাসিনার উন্নয়নের মাইলফলক। তবে ভাড়ার বিষয়টি ঢাকাগামী রেগুলার চাকরিজীবীদের ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা ভাড়া করা হোক। তিনি যুক্তি দেন বনগাঁ থেকে কলিকাতা ৮০ কিলোমিটার রাস্তা ভাড়া ২০ রুপি আমাদের ভাঙ্গা থেকে ঢাকা একই রাস্তা সেখানে ৬০ টাকা হলে ভালো হয়।’
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচলের উদ্বোধনের পর পহেলা নভেম্বর জনসাধারণের জন্য ঘোষণা আসল।