
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৪ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের দেয়া ২৩৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯৯ রানের বেশি স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারেনি লঙ্কাবাহিনী। রানের হিসেবে এটি টি-টোয়েন্টি তাদের সবচেয়ে বড় জয়। আর শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় পরাজয়।
রোববার (২৭ অক্টোবর) অ্যাডিলেড ওভালে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে দারুণ শুরু হয় অজিদের ইনিংস। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১২২ রান।
লাকশান সান্দাকানের বলে কুশল মেন্ডিসের তালুবন্দী হয়ে অধিনায়ক ফিঞ্চ ফিরলে ভেঙে যায় জুটি। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান করেন ৬৪ রান। তার ৩৬ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছয়।
অধিনায়ক ফিরলেও রানের চাকা থামেনি অস্ট্রেলিয়ার। বরং আরও দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ২৮ বলে ৬২ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে বিদায় নেন তিনি। তার ২২১.৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছয়। অ্যাশেজ ব্যর্থতার পরে আবারও জ্বলে উঠেছেন ওয়ার্নার। ব্যাট হাতে দারুণ ঝলক দেখিয়েছেন তিনি। ৫৬ বলে ১০০ রান সংগ্রহ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
তার ইনিংসটি সাজান ছিল ১০টি চার ও ৪টি ছয়ে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম শতকের রেকর্ড এটি। টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করেছে ২৩৩ রান।
সফরকারীদের হয়ে উইকেট দুইটি শিকার করেছেন লাকশান সান্দাকান ও দাসুন শানাকা। লঙ্কান বোলার কসুন রাজিথা ৪ ওভারে খরচ করেন ৭৫ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান খরচ করার লজ্জার রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছেন রাজিথা।
রান পাহাড়ের চাপে দিশেহারা হয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। ১ রানে প্রথম, ১৩ রানে দ্বিতীয়, ১৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায়। এরপর ৪৬ রানে চতুর্থ, ৫০ রানে পঞ্চম, ৭১ রানে ষষ্ঠ ও ৭১ রানে সপ্তম উইকেট হারায়। ৮২ রানে অষ্টম, ৮৩ রানে নবম উইকেট হারিয়ে ৯৯ রানেই থামে তাদের রান তাড়ার গাড়ী।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ৩টি উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। ১টি উইকেট নিয়েছেন অ্যাস্টন আগার।