
আশিক সরকার : স্বাধীনতার পর থেকে মতলব-গজারিয়া সেতু বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে আসছে এ এলাকার জনগণ। দীর্ঘদিনের এ দাবী বাস্তবায়ন হতে চলছে।
একনেকে অনুমোদন পেয়েছে চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলাকে সংযোগ স্থাপনকারী ঝুলন্ত সেতু। মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর উপর ব্রিজটি নির্মিত হবে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক সংযোগ সৃষ্টি করবে এই সেতু। গতকাল মঙ্গলবার (৩১অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টিকারী ‘মতলব সেতু’ বাস্তবায়নের সময় থেকেই ঢাকার সাথে চাঁদপুরের সড়ক দূরত্ব আরো কমিয়ে আনা এবং সহজ করার লক্ষ্যে সর্বপ্রথম সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং উক্ত নদী পার হতে ফেরী সার্ভিস চালু করেন। পরবর্তীতে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বিজয়ী ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল তার প্যাডে ডিও লেটার দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর কাছে এবং জাতীয় সংসদে তার বক্তব্যে এ সেতু বাস্তবায়নে জোরালো দাবী করেন। তারপরই সংশ্লিষ্ট দপ্তর নড়েচড়ে বসে এবং এই সেতু নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণে উদ্যোগ ও ভূমিকা রাখেন।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটিই হতে পারে বর্তমান সরকারের মেয়াদে শেষ একনেক সভা। সভায় চাঁদপুরের মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর একটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের প্রস্তাব উত্থাপনের পর তা অনুমোদন লাভ করে।
মতলব-গজারিয়া ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৪ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। এর আওতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতু নির্মিত হবে।
প্রকল্প চলবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। সাধারণত প্রকল্পের মেয়াদ একনেকে পাস করার আগে থেকে শুরু হয়। তবে এই প্রকল্প পাস হয়ে থাকবে, পরে কাজ শুরু হবে।
পুরোপুরি দেশীয় অর্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
উক্ত সেতুটি বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল, এছাড়া তিনি ৫ বার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সেতুর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমি মাননীয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর বরাবর সেতুর জন্য ডিও লেটার দেওয়ার পর ওনি সেতু বিভাগের সচিব মনজুরুল আলম এবং যুগ্ম সচিব ভিখারদ্দৌলা চৌধুরী কে সেতুটি দ্রুত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন সেতুটি নির্মাণ হলে সর্বসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হবে,
এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক সভায় সেতুটি পাস হওয়ার জন্য আমি মতলব বাসীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আরো ধন্যবাদ জানাই মাননীয় সড়ক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপিকে।
এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল আরো বলেন এই সেতুটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের কোন বিকল্প নেই। তিনি মতলববাসী কে শুকরানা আদায়ের জন্য মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতে বলেন।