
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলার হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালা, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৫২ র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিলেন। বাংলার মানুষ জাতির পিতার ডাকে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
সোমবার( ২৮ আগস্ট) দুপুরে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা এবং খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, বঙ্গবন্ধু পরাধীন স্বদেশের অধিকারবঞ্চিত জনতার ক্রোধ ও স্বাধিকারের প্রত্যয়কে হৃদয়ে ধারণ করে জাতিকে স্বাধীনতার সংগ্রামের পথে এগিয়ে নেন।
তিনি বলেন, ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের পরই বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে জেগে ওঠা জাতির জন্য ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’-জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। স্বাধীনতার সফল স্থপতি। বাংলাদেশের সার্থক রূপকার। জাতির পিতা শুধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেননি, তিনি একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্নও দেখেছিলেন।
তিনি বলতেন ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই’। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন, সোনার মানুষগুলো হবে অসাম্প্রদায়িক, শিক্ষিত, আধুনিক ও দেশপ্রেমিক। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফি।
৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর এবং কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান মিয়াজীর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাজেদা বেগম ,কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, আব্দুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর,শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এস.কে বাদল, সদস্য মহাইমেন বয়ান, সিরাজুম মুনির টিপু, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আকবর মোঃ বাবলা প্রমুখ। সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জন বিশ্বাস।