
দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশের বোলারদের দায়িত্ব নিচ্ছেন গিবসন। সাবেক ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলারের দায়িত্ব শুরু হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সফর দিয়ে। দলের সঙ্গে লাহোরে যোগ দেবেন তিনি।
সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের প্রধান কোচ ছিলেন গিবসন। বিপিএল চলার সময়ই তার সঙ্গে আলোচনা করে বিসিবি। গিবসনও তখন ওই দফায় বলেন, দায়িত্বটি নিতে তিনি খুবই আগ্রহী।
বিপিএলে সিলেট থান্ডারের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করা সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ন্যান্টি হেওয়ার্ডও আগ্রহী ছিলেন দায়িত্বটি পেতে। তবে শেষ পর্যন্ত গিবসনের অভিজ্ঞতায় ভরসা রাখল বিসিবি।
খেলোয়াড়ী জীবনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি টেস্ট ও ১৫টি ওয়ানডে খেলেছেন গিবসন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবশ্য ক্যারিয়ার ছিল দারুণ সমৃদ্ধ। ইংলিশ কাউন্টিতে খেলেছেন দাপটে। তবে কোচ হিসেবে সাফল্যে ছাপিয়ে গেছেন খেলোয়াড়ী জীবনকে।
২০০৭ ইংল্যান্ডের বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়ে দারুণ সফল হয়েছিলেন। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছিলেন প্রধান কোচ। তার কোচিংয়ে ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। পরে আরও দুই দফায় ছিলেন ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ। সবশেষ বিপিএলের আগে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরির বিশ্বাস, বাংলাদেশের দায়িত্বেও সফল হবেন গিবসন।
“গিবসন খুবই অভিজ্ঞ, ক্রিকেট বিশ্ব জুড়ে খেলা ও কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে তার। বাংলাদেশের ক্রিকেটকেও সম্প্রতি দেখেছেন খুব কাছ থেকে। আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশের কোচিং গ্রুপে তার অন্তর্ভুক্তি হবে মহামূল্য।”
বাংলাদেশের আগের বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরার পর থেকেই বোলিং কোচ খুঁজছিল বিসিবি।