
পরিক্রমা ডেস্ক : আজ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনা ভিত্তিক এক বর্ণাঢ্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিপুল সংখ্যক শিশু কিশোর অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “দেশপ্রেম কি, তার
চেতনা শৈশব থেকে মনে গ্রথিত করতে হবে। পিতামাতা যদি আদর্শবান না হয়, তবে সন্তানরা আদর্শবান হবে কিভাবে? কাজেই সন্তানদের সামনে অভিভাবকদের সততা, সাম্য ও দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সমাজে সৎ ও দেশপ্রেমিক মানুষের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। যে মূল্যবোধ ও সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনেক রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, তা আমরা হারিয়ে ফেলছি। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের প্রতিটি কাজে, পদক্ষেপে ও চিন্তাধারায় সততা, শুদ্ধতা ও দেশপ্রেমের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।”
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী আরও বলেন, “শিশুদের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না। তাঁদের গৃহবন্দি করে রাখবেন না। অতি যান্ত্রিকতা, অতি বিলাসিতা ও অতি আরামপ্রিয়তার মধ্যে সন্তানদের ডুবিয়ে রাখবেন না। তাদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ ও নীতি নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য আদরে ও শাসনে রাখতে হবে। দেশের মেধাবী সন্তানদের ইউরোপ বা আমেরিকা যাবার জন্য লোভ বা মোহ তৈরি করবেন না। প্রাকৃতিক পরিবেশে অবগাহন এবং দেশীয় খাবারের চর্চা বাড়াতে হবে। মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে শিশুদের বাঁচাতে হবে। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল। সুতরাং দেশকে গড়ার ও দেশের সমৃদ্ধির মহৎ লক্ষ্য নিয়ে সন্তানদের বিজ্ঞানী, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিসিএস কর্মকর্তা ও সেনা অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারও সাথে বৈষম্য হচ্ছে কিনা, তা’ তাদের বোঝাতে হবে। বৈষম্য থেকে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয় এবং সামাজিক বন্ধন ধ্বংস হয়ে যায়, তখন একটা জাতি দুর্বল হয়ে যায়।” এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১২ জন শিশুকে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিজয়ী করে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া
প্রত্যেক প্রতিযোগীকে জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।