Home জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর পরিদর্শনে দুদক কর্মকর্তারা : কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সেমিনার

বিজ্ঞান জাদুঘর পরিদর্শনে দুদক কর্মকর্তারা : কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সেমিনার

99
0
SHARE

পরিক্রমা ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭০জন উপসহকারী পরিচালক ও কোর্ট পরিদর্শক গতকাল (১৮.০৯.২০২৩খ্রি.) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ উপলক্ষ্যে ‘কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “ লাগামহীন কার্বন নিঃসরণ ‘এর জন্য পরিবেশ দূষণ কার্যতঃ একটি অপরাধ, যা’ মোকাবেলায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ অপরিহার্য। পরিবেশ আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। অবৈধ ইটভাটা এবং স্টিল মিল ও রিরোলিং মিল থেকে যে হারে কার্বন নিঃসরণ হয়, তা পরিবেশকে বিপর্যস্ত করছে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সেন্সর ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণের উৎস সনাক্তকরণ, বায়ুমান নির্ধারণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিজ্ঞান সম্মত উপায় অবলম্বন করতে হবে। হাজার হাজার কলকারখানা কিংবা ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের সীমিত জনবল দিয়ে মনিটরিং ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দুরূহ। এক্ষেত্রে অবশ্যই রোবট বা ড্রোন ব্যবহার করে এসব অপরাধ সনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ কার্যক্রমে পরিবেশ
অধিদপ্তরের সাথে দুদক সহযোগী শক্তি হয়ে কাজ করতে পারে।”

২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুদকের এনফোর্স মেন্ট অভিযান পরিচালনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “ সে সময়ে দুদকের আইনী ক্ষমতাকে পরিবেশ অপরাধ বন্ধে এবং পরিবেশ অপরাধ থেকে অবৈধভাবে উপার্জিত আয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এমনকি পঞ্চগড় জেলা থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের সনাক্ত করে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল।পরিবেশ দূষণ থেকে যারা অনৈতিকভাবে আয় বা মুনাফা অর্জন করছে, তা নিঃসন্দেহে দুর্নীতির আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুদকের কোর্ট পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম, এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন কোর্ট পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেদওয়ান উল্লাহ।

কর্মসূচীতে প্রশিক্ষনার্থীদের বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।

image_pdfimage_print