
বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর দশ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকেট এবং দশ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছে।
শুক্রবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন ।
স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম ঢাকা জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকেট বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা রয়েছে।
১৮৭৪ সালের এই দিনে সুইজারল্যান্ডে ২২ দেশের অংশগ্রহণে গঠিত হয় ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন(ইউপিইউ)। ইউনিয়ন গঠন করার দিনটি স্মরণীয় রাখতে সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৯৬৯ সালে ডাক ইউনিয়নের ১৬তম অধিবেশনে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ‘ডাক ইউনিয়ন দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় ।
পরবর্তীতে ১৯৮৪ দিবসটির নাম পরিবর্তন করে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ রাখা হয়। বিশ্ব ডাক দিবসের কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য নেই। তবে উদ্ভাবন, একাগ্রতা এবং অন্তর্ভুক্তি এই তিনটি স্তম্বের ওপর এবছর ইউপিইউ পোস্টার ডিজাইন করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর সদস্য পদ অর্জন করে। এর পর থেকে দেশে প্রতিবছর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়ে আসছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে একটি ‘গ্লোবাল হোম’ এ পরিণত করেছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “ডাক অধিদপ্তরকে ইতোমধ্যেই ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে গ্রামীণ ৮ হাজার ৫০০ ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যমান জনবলকে ডিজিটাল উপযোগী করে গড়ে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী জানান, ডাকঘর থেকে তৃণমূল জনগোষ্ঠী সরকারের ২০০ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে।
কোভিড-১৯ মহামারীতে থেমে যাওয়া জীবনযাত্রায় ডাকঘরের বিস্তৃর্ণ পরিবহন নেটওয়ার্ক ও বিশাল অবকাঠামো মানুষের সেবায় কাজে লাগানো হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির অভাবনীয় বিকাশের ফলে প্রাচীন প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।