
নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে সরানো যাবে না জেনে বিএনপি হত্যা-ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল ।
রোববার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল আমিন রুহুল বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়া একাত্তরের ঘাতকদের সাথে আঁতাত করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির মদদে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সেদিন হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক ছিলো জিয়াউর রহমান। এখন তাদের উত্তরসূরিরা আজকে স্লোগান দিচ্ছে ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যারা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে; তাদের উত্তরসূরিরাই দিচ্ছে এই ধরনের স্লোগান।
বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বার বার হত্যাচেষ্টা করার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতা তারেক রহমান গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আজকে যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে এবং জাতীয় নির্বাচনের দেড় বছর আছে; দেশকে যখন উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা; তখন তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। যেকোনোভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যম তারা হয় শেখ হাসিনাকে হত্যা করবে, না হয় ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করবে।
এজন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ব্যালটের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরাতে পারবে না জেনে ষড়যন্ত্রকারীরা অন্য পথ বেছে নিয়েছে। পেছনের দরজা দিয়ে কীভাবে ক্ষমতায় আসা যায়, এজন্য তারা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত চায়।
এই বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, এরা আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালে যে কাজগুলো তারা করেছে অর্থাৎ অগ্নিসন্ত্রাসসহ যেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে এখন।
বিএনপি গণতান্ত্রিক সুযোগের অপব্যবহার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো আমাদের কোনো মিটিং মিছিল করার সুযোগ দিতো না। আমাদের কোথাও দাঁড়াতেই দেয়নি। আজকে তারা প্রেসক্লাবসহ সব জায়গায় মিছিল মিটিং করছে। আমরা তাদের সেই সুযোগ দিয়েছি। এই সুযোগ নিয়ে অগণতান্ত্রিক আচরণ করবেন, সন্ত্রাসের পথে হাঁটবেন- তাহলে কিন্তু আপনাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে জানিয়ে বিএনপির উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে।’