
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এবার দলের ছায়ামন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক। এর আগেও তিনি এ দায়িত্ব পালন করেছেন।
গেল ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনে ২৮ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হন টিউলিপ। যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী জনি লাক পান ১৩ হাজার ৮৯২ ভোট।
ব্রিটেনের সবচেয়ে আলোচিত সংসদীয় আসনগুলোর একটি হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন। নব্বইয়ের দশক থেকে এই আসনটিতে লেবার পার্টি ও কনজারভেটিভদের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে আসছে।
ওই আসন থেকে ২০১৫ সালে প্রথমবার লেবার দলের মনোনয়ন পেয়ে ব্রিটিশ এমপি নির্বাচিত হন ৩৭ বছর বয়সী টিউলিপ। ওই নির্বাচনে কনজারভেটিভ প্রার্থীর সঙ্গে টিউলিপের ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র ১ হাজার ১৩৮। এর পর ২০১৭ সালে ১৫ হাজার ৫৬০ ভোটের ব্যবধানে পুননির্বাচিত হয়ে তিনি নিজের শক্ত অবস্থান জানান দেন টিউলিপ। ২০১৯ সালে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।
টিউলিপ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা মেয়ে। ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. শফিক সিদ্দিক ও রেহানা দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে টিউলিপ দ্বিতীয়। একদিকে পারিবারিক পরিচয়, অন্যদিকে লন্ডনের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনে টানা তৃতীয় জয় ব্রিটেনের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান করে দিয়েছে টিউলিপকে।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে প্রথম কোনও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী হিসেবে ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন টিউলিপ।