 
		
							ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে, যেখানে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “ভবিষ্যতের কথা শুনুন।” বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী নানা আনন্দ ও সৃজনশীলতার আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের সাথে যুক্ত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট, ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (ব্র্যাক আইইডি) এবং মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা (এমএইচপিএসএস) টিম।
এদিনের অনুষ্ঠানে শিশু ও তাদের অভিভাবকরা একত্রে সৃজনশীলতা, শিক্ষা এবং পারিবারিক বন্ধন উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশুদের হাতে উপহার দেওয়া হয় বিভিন্ন খেলনা, যা ব্র্যাক আইইডি দ্বারা তৈরি। এসব খেলনা শিশুদের কৌতূহল এবং সৃজনশীলতা জাগিয়ে তোলে। পাশাপাশি, অভিভাবকরা এমএইচপিএসএস বিশেষজ্ঞদের পরিচালনায় একটি সেশনে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে সন্তানদের মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ সম্পর্কে মূল্যবান পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অভিভাবকরা তাদের শিশুদের সাথে হাতে তৈরি খেলনা তৈরি করেন, যা শিশুদের দলগত কাজ করার দক্ষতা এবং পারিবারিক বন্ধনকে দৃঢ় করেছে। পরে একটি গল্প বলার সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিশুরা কল্পনার জগতে প্রবেশ করে এবং গান ও নাচে মেতে ওঠে। এই পর্বটি পুরো অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।
বিশ্ব শিশু দিবসের সমাপনীতে কেক কাটা হয়, এবং এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর মাহবুব রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, প্রক্টর রুবানা আহমেদ এবং স্টুডেন্ট লাইফের জয়েন্ট ডিরেক্টর তাহসিনা রহমান।
প্রধান অতিথি প্রফেসর মাহবুব রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “শিশু দিবসের এই আয়োজন শিশু এবং তাদের পরিবারের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা এবং উন্নতির প্রতি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অঙ্গীকারের প্রতিফলন। আমরা আনন্দিত যে, শিশুরা এখানে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছে।”
এছাড়া, প্রফেসর মাহবুব ও ড. ডাউল্যান্ড শিশুদের সঙ্গে নানা খেলায় অংশগ্রহণ করেন, যা অনুষ্ঠানের পরিবেশকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ এবং পরিবার ও সমাজের ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে, এবং এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে একটি উজ্জ্বল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।						
				 
				




