Home জাতীয় ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে মিয়ানমার, বাংলাদেশের ক্ষোভ

ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে মিয়ানমার, বাংলাদেশের ক্ষোভ

41
0
SHARE

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :  রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার মিয়ানমারের অব্যাহত প্রচেষ্টায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজারবাইজানের বাকুতে গত ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রী উ চ টিন রোহিঙ্গা সঙ্কটকে ধর্মীয় নিপীড়ন, জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসাবে আখ্যায়িত করায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন। অথচ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ করেছে। নৃশংসতার মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজ ভূমি ছেড়ে বাংলাদেশের আশ্রয় নেয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমার বরাবরই রোহিঙ্গাদের ব্রিটিশ আমলে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী হিসাবে চিহ্নিত করে আসছে। এখন তারা বলছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের বড় ঢল মিয়ানমার গেছে। উদ্ভাবনী ধারণাপ্রসুত এ দাবি অযৌক্তিক। মিয়ানমারের মন্ত্রী রোহিঙ্গা সঙ্কটের জন্য রাখাইন রাজ্যে আন্ত:ধর্মীয় উত্তেজনা ও উন্নয়ন ঘাটতিকে দায়ী করেছেন। অথচ কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদনে এ জন্য রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত বৈষম্য ও দমন-পীড়নকে মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) কোনো তৎপরতা নেই উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্চ মাত্রার সতর্কতার কারণে বাংলাদেশে ঘাঁটি বানিয়ে কোথাও সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ড চালানো সুযোগ নেই। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নিরাপত্তা সমস্যায় বাংলাদেশকে জড়ানোর অপচেষ্টা থেকে মিয়ানমারের বিরত থাকা প্রয়োজন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে সংলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নীতি অনুসরন করছে বাংলাদেশ। কিন্তু সঙ্কটের জন্য দায়ী একটি পক্ষের অন্যায্য অভিযোগ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের কর্মকান্ড রোহিঙ্গা সঙ্কট সুরাহায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্থ করবে। এ সব অপপ্রচার বন্ধ করে মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত।

image_pdfimage_print