
শামসুজ্জামান ডলারঃ
মতলব দক্ষিণ উপজেলার পশ্চিম বাইশপুর এলাকায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ক্যানেল ভেঙ্গে পানি প্রবেশের কারণে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
২৯ এপ্রিল দুপুর আড়াইটায় ওই সেচ প্রকল্পের ইউ-১ সেচ ক্যানেল ভেঙ্গে শত একর জমির পাকা ধান নষ্ট ও বসবাড়ীর আঙ্গিনা ডুবে গেছে। এতে প্রায় ২ শতাধিক কৃষকের প্রায় কোটি টাকার ফসলাদি ক্ষয়-ক্ষতি হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, কয়েক দিন যাবত ক্যানেল পরিপূর্ণ করে পানি দিয়ে আসছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। কিন্তু পানি ব্যবস্থাপনা দলের কেউ তদারকি না করার কারণে সোমবার দুপুরে ক্যানেলটি ভেঙ্গে পড়ে। এতে পাকা ধানসহ আমাদের ঘর বাড়ীর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এ ক্যানেল দেখা শোনা করার জন্য চেকম্যান রয়েছে তাদেরকেও দেখা যায়নি। এখন সব মাঠে প্রায় খেতেই পাকা ধান। আর প্রায় ১০-১৫ দিন উচু খেতে পানি প্রয়োজন হবে। এ মূহুর্তে সেচ ক্যানেল ভেঙ্গে গেছে। এখানে যদি জরুরী ব্যবস্থা বা মেরামত করা না হয়, তা হলে ইউ-১ ক্যানেল এলাকার কৃষকদের অনেক ক্ষতি সাধন হবে। উপস্থিত মোহাম্মদ আলী, শাজাহান দেওয়ান, খোরশেদ আলমসহ বেশ কয়েকজন জানান, জরুরী ভিত্তিতে ক্যানেলটি মেরামত না করলে ধানক্ষেতসহ ফসলাদি এবং ঘর বাড়ীর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে।
এদিকে সেচ ক্যানেলের ভাঙ্গনের খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল ইসলাম, উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভাশিষ ঘোষ, মতলব প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী ইয়ামিন পরিদর্শনে এসেই মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের সংশ্নিষ্টদের মুঠোফোনে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসেন। ভাঙ্গনের বিষয়ে মতলব দক্ষিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল ইসলাম ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, ভেঙ্গে যাওয়া ক্যানেলটি আজ রাতের মধ্যেই দ্রুত মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।