
মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারণা ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে বাগানবাড়ী আইডিয়েল একাডেমি মাঠে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারণা ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (এসি মিজান)।
ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণ ও সরকারের হাজারো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, একটি মহল এসব উন্নয়ন স্বীকার করতে চায় না। তারা ব্যস্ত ষড়যন্ত্রে। সবখানেই চলছে ষড়যন্ত্র। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক ভূঁইয়া সভাপতিত্বে এবং ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরকার মো. আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সদস্য আতিকুল ইসলাম শিমুল, উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রেফায়েত উল্ল্যা দর্জি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম মিজান, বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া ফয়সাল ভূঁইয়া, বাগানবাড়ি ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আলী সরকার, মতলব ডিগ্রি কলেজ সাবেক ছাত্র নেতা হুমায়ুন কবির।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী নুর বেপারী, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জুবায়ের বাবু, ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাজিব মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ অপুসহ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মিজানুর রহমান বলেন, সমগ্র বিশ্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি রোল মডেল। আর এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নেয়ায় সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকা জরুরি- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলেই উন্নয়ন গতিশীল হবে। সেটা নিশ্চয়ই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সেগুলো একে একে শেষ করেছেন। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বলেই আজকের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়েছেন। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা বিজয়ী হতে পারলেই এই উন্নয়নের গতি আরো ত্বরান্বিত হবে। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে জঙ্গি দমন, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের জনগণ আগামি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। দেশে আবারো জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আবারো সারা দেশে বোমাবাজি হবে। তাই জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি জনগণের সাথে থাকবে, না জঙ্গিবাদের সাথে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল বলেই আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।