
শামসুজ্জামান ডলার ঃ
পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার মতলব উত্তর উপজেলার প্রান্তিক পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবীর দেখা, আড্ডা, নিজের ক্যারিয়ার গড়ার ভাবনা থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছুর শুরুটা হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন থেকে। বিতর্ক প্রতিযোগিতার অংশ গ্রহনের সাফল্য বদলে দিতে পারে ক্যারিয়ারের গতিপথ।
তিনি আরো বলেন, যে কোন প্রতিযোগিতায় জয় পরাজয় থাকবে। মনে রাখবে সফল ব্যক্তিরা সারাজীবনই সফল ছিলেন না। ব্যর্থতার নাগপাশে বদ্ধ থাকতে হয়েছে তাদের অনেককেই। কিন্তু তারা বিজয়ী, কারণ ব্যর্থতাকে জয় করে সাফল্যের পথ চিনে নিয়েছেন তারা। তুমিও তাই প্রথম দিককার ভুলগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ভুল থেকে শিক্ষা নাও। সাফল্য আসবেই
তিনি চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের এ ধরনের আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানান। চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিতর্ক কর্মশালার আযোজনের আশ^াস প্রদান করেন।
গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার মায়া বীর বিক্রম মিলনায়তনে একাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার মতলব উত্তর উপজেলার প্রান্তিক পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়। চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সভাপতি ওঠারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শহীদ উল্লা প্রধানের সভাপ্রধানে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিকেডিএফ চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজন চন্দ্র দে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিকেডিএফ মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম লাভলু।
প্রান্তিক পর্বে প্রাথমিক পর্যায়ের ‘শিক্ষিত বাবার চেয়ে শিক্ষিত মা অধিক জরুরি’ বিষয়ে ৯নং ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে ১নং ছেংগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জয়লাভ করে। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় ১নং ছেংগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানবীন আনহা।
কলেজ পর্যায়ে প্রান্তিক পর্বে ‘উন্নয়ন সূচকে আজকের বাংলাদেশই সর্বকালের সেরা বাংলাদেশ’ বিষয়ে লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজকে পরাজিত করে মুন্সী আজিম উদ্দিন কলেজ জয়লাভ করে। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় মুন্সী আজিম উদ্দিন কলেজের মোঃ পারভেজ আহমেদ।
মাধ্যমিক পর্যায়ে ‘উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে জনগণের চেয়ে সরকারে ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয়ে দশানী মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালযকে পরাজিত করে ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় জয়লাভ করে। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে উম্মে দীমা খাইরুন বারিয়া। ‘বাঙালির সংগ্রামে নারীর অবদান পুরুষের চেয়ে অধিক’ বিষয়ে দূর্গাপুর জনকল্যান উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে সিদ্দিকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জয়লাভ করে। শ্রেষ্ঠ বক্তা সিদ্দিকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অহনা আহমেদ। শিক্ষার সার্থকতা কর্মজীবনে নয় সমাজজীবনেই অধিক’ বিষয়ে জমিলা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজ(স্কুল শাখা) জয়লাভ করে। শ্রেষ্ঠ বক্তা লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের (স্কুল শাখা) ইমরান নাজির পাহু। ‘তারুণ্যের কাছে সততা নয়, দেশপ্রেমই মুখ্য হওয়া উচিত’ বিষয়ে দি কার্টার একাডেমিকে পরাজিত করে চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় জয়লাভ করে। শ্রেষ্ঠ বক্তা চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নাজমুন নাহার।
মাধ্যমিকে অংশগ্রহণকৃত ৮টি উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে সিদ্দিকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রথম সেরা ও লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজ দ্বিতীয় সেরা হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সভাপতি ওঠারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শহীদ উল্লা প্রধানের সভাপ্রধানে ও সিকেডিএফ মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম লাভলুর পরিচালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিতর্ক প্রতিযোগিতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও শত বিতার্কিক গড়ার কারিগর দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাত। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, সিকেডিএফ চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ, উপজেলা দূনীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক, সিকেডিএফ মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি সাংবাদিক শামসুজ্জামান ডলার, বিচারক মোঃ ইলিয়াছ মজুমদার সুমন ও মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান, শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র বারৈই প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিকেডিএফ মতলব উত্তর উপজেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক জেসমিন আক্তার।
সাাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সফিকুল ইসলাম রানা,নাঈম মিয়াজী, রোবেল হোসেন,সিকেডিএফ মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সদস্যবৃন্দ, সুধীজন ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক ও কলেজ পর্যায়ে উপজেলায় চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দলকে সনদপত্রসহ ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয় এবং বিতার্কিকদেরকেও পুরস্কার ও সনদপত্র দেয়া হয়।