Home ব্রেকিং মতলব উত্তরে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

মতলব উত্তরে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

90
0
SHARE

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার ডাঃ জাকির হোসেনের
বিরুদ্ধে স্ক্যাভেঞ্জিং প্রকল্পের শেড নির্মাণে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

ওই প্রকল্পের শেড নির্মাণের গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে জোড় করে টাকা নিয়ে পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে শেড নির্মাণের ২৪ লাখ টাকা আর্থিক অনিয়ম করে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার । গত ৪ সেপ্টেম্বর খামারিদেরকে শেড বিতরন করবে বলে ডেকে আনা হলে মাত্র দু’টি শেড দিয়ে উদ্বোধন করে তাদেরকে বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। তখনি বাদসাদে খামারদের সাথে। ওইসময় খামারিয়ারা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচারের দাবি জানান।

প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায় , বিশ্ব ব্যাংকের অর্থানে উপজেলায় ছাগল-ভেড়া ও পোল্ট্রি পালনের জন্য খামারিদের ১২০ টি শেড নির্মাণের ২৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়। ওইসব শেড নির্মানের ডিজাইন ও পরিমাপ অনুযায়ী খামারিদের কাছে বিতরনের নির্দেশনা রয়েছে।

জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি খামারির ব্যাংক একাউন্টে। নিয়ম অনুযায়ী নিদির্ষ্ট ডিজাইনে খামারিরাই শেড তৈরি করবে।
কিন্তু বাস্তবে ওইসব শেড নির্মানের ডিজাইন ও পরিমাপ অনুযায়ী করা হয়নি। এদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন খামারিদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চেক এ স্বাক্ষর করিয়ে নিজেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছে। ১২০ টি শেড এর জন্য ২০ হাজার টাকা করে মোট ২৪ লাখ টাকা গ্রাহদের চেক দিয়ে ব্যাংক থেকে তুলে নেন। টাকা উৎলোন করে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মুহাম্মদ জাকির হোসেনের নিকটাত্মীয় তৃতীয় শ্রেণীর এক সরকারি কর্মচারী (স্বাস্থ্য সহকারী) মোঃ শাহজালালকে দিয়ে শেডগুলো তৈরি করেছেন।

একাধিক খামারিরা জানান, আমাদের একাউন্টে সরকার ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছে, ছাগল-ভেড়া ও পোল্ট্রি পালনের শেড তৈরির জন্য। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও তার নিকটাত্মীয় শাহাজালালসহ কিছু লোকজন আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চেক ও স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন। সরকার নাকি তাদের দায়িত্ব দিয়েছে তারাই ঘর করে দিবে। আমরা বলেছি আমরাই ঘর নির্মাণ করবো, যদি ২০ হাজারের বেশি টাকাও লাগে আমরা ভালো করে শেড নির্মান করব। কিন্তু
ডাঃ জাকির হোসেন তা মানেন নি। এই শেডে ছাগল-ভেড়া ও পোল্ট্রি পালন করা যাবেনা। ওইসব শেড নিবো বলে তাকে জানিয়ে দিয়েছি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুর রহমান নুরের সাথে মোবাইলে জানান , এই প্রকল্প সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। এই কথা বলে তিনি এড়িয়ে যান।

এদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (অ.দা.) ডাঃ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, এই প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক অর্থ দিলেও আমাদের মাধ্যমে শেড তৈরি করার নিময় আছে। ঘর মানসম্মত করেই করা হয়েছে। প্রকল্পে কোন অনিয়ম হয়নি।

image_pdfimage_print