
আজ বিকেলে মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নিজ কক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সরকার ও জনগণের সমর্থন শ্রদ্ধার সাথে করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের ভিত্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা করে গেছেন যার ধারাবাহিকতা তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বজায় রেখেছেন। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বলেও জানান মোঃ তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এদেশে যখনই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে ফাটল ধরানোর চেষ্টা অতীতেও করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না। কারণ দু’দেশের সম্পর্ক আত্মিক এবং দৃঢ়।
দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ফলেই সীমান্ত এবং সমুদ্র সমস্যাসহ আরো অনেক সমস্যা সমাধান হয়েছে। ভবিষ্যতেও দুই দেশ একত্রে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ আখ্যায়িত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন এদেশে বহু ধর্মের মানুষ বসবাস এবং যে যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছেন। সকল ধর্মের মানুষ পূর্ণ নাগরিক অধিকার, সব ধরনের সামাজিক সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, নারী শিক্ষা এবং অর্থনীতিতে নারীর অন্তর্ভুক্তির প্রশংসা করে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী দেশের সকল উন্নয়নের অংশীদার হয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এ সময়, ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের নগর উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সমবাযয় এবং ডেইরি ইন্ডাস্ট্রিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার জন্য দেশটির পক্ষে আগ্রহ প্রকাশ করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ভারতীয় হাই কমিশনারকে এদেশে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।