
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। এমনকি চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন তারা। তাই তাদের অনেকে মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইছেন। এছাড়া মাদক কারবারিরা স্বেচ্ছায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা পেতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা পাবেন। এমন আশ্বাস পেয়েই অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসার অঙ্গীকার করলেন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ওরফে সাবান আলী ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার ওরফে জহুরা বেগম। গতকাল সোমবার (২৮জানুয়ারি) দুপুরে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ
শেরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অঙ্গীকার করেন তারা। উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের মৃত পামোছা আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে সাবান আলী জানান, আমি একজন সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান। বাবার সামান্য জমাজমি চাষাবাদ করে এবং স্থানীয় মির্জাপুর বাজারে মুদি ব্যবসার মাধ্যমে জীবন যাপন করতে থাকি। কিন্তু এলাকার কতিপয় যুবক মাদক কারবারি আসছিল। আর তাদের প্ররোচনায় নিজে মাদকাসক্ত হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায় জড়িয়ে যাই। একপর্যায়ে আমার স্ত্রী জহুরা বেগমও মাদক বেচা-কেনা শুরু করেন। এ কারণে একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছি। মামলা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সমাজের চোখেও ঘৃণিত ব্যক্তি হয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিজেদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। তাই মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপনে পুলিশ প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। আর এজন্যই মির্জাপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামস্থ বাড়ি বিক্রি করে পৌরশহরের হাজীপুর এলাকায় বসতি গড়েছি। ভবিষ্যতে আর কোন দিন এহেন অপকর্মে জড়িয়ে যাবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, মাদকের বিরুদ্ধে তারা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। তাই এই উপজেলায় মাদককে দুষ্পাপ্য করতে ব্যবসায়ী ও আসক্ত সবাইকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, যদি কোন মাদক ব্যবসায়ী নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পুর্নবাসনসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।