
পরিক্রমা ডেস্ক : মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে সম্পন্ন হলো পিঠা উৎসব ২০২৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রোববার এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে রকমারী সব পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা। উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।
ইংলিশ ক্লাবের উদ্যোগে, সম্মিলিত ক্লাবসমূহের আয়োজনে ও ছাত্রবিষয়ক বিভাগের সহযোগিতায় জাঁকজমকপূর্ণ এ পিঠা উৎসবে লটারির মাধ্যমে মোট ১৭টি স্টল বরাদ্দ করা হয়। এ সব স্টলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানান স্বাদ ও বাহারি নকশার বিভিন্ন পিঠা স্থান পায়।
এ সব পিঠার মধ্যে ছিল- পাটি সাপটা, চিতই, দুধ পাকন, আম পিঠা, দুধগজা, ভাপা পিঠা, নারিকেল পুলি, আন্দাসা, ভাপা পুলি, বরফি সন্দেশ, ঝিনুক পিঠা, তালপুলি, খেজুর পিঠা, গোলাপ পিঠা, শামুক পিঠা, কুচি পিঠা, মাংস পিঠা, আম গোল্লা, চিকেন পুয়া, জামাই পিঠা, পাকন্দ পিঠা, সেমাই পিঠা, বুলবুলা, পান্থুয়া ইত্যাদি।
এর আগে সকালে পিঠা উৎসব ২০২৩ উদ্বোধন করেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী। এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর আহমেদ মাহবুব-উল-আলম, ইইই বিভাগের প্রধান কে. এম. আকতারুজ্জামান, আইন বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, সিএসই বিভাগের প্রধান শারমিনা জামান, জার্নালিজম অ্যন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান রফিকুজ্জামান, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রাকিব আল মামুন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ নাজমুল হক শিকদার শিবলু, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহানা সুলতানা, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হোসনে আরা, ছা্ত্রবিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আবদুল মতিন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেইন-সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ক্লাবগুলোর মডারেটর ও সহকারী মডারেটর এবং কর্মকর্তাবৃন্দ।
উদ্বোধন শেষে তারা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ও বাহারি নামের ও স্বাদের এ সব পিঠার স্বাদ নেন। দিনব্যাপী এ উৎসব শেষে বিকেলে ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া ভোটের মাধ্যমে সেরা তিনটি স্টল বাছাই করা হয়। এর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে আইন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া স্টল পিঠা পল্লী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া স্টল রকমারি স্বাদ ও নেমন্তন্ন বাড়ি।