
দেশে সংক্রমণের মাত্রা উর্ধ্বমুখী থাকলেও টানা ৬৬ দিন পর রোববার থেকে খুলেছে সব ধরণের কার্যক্রম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সব ধরণের সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন এবং জনসাধারণের চলাচলে কঠোরতা উঠিয়ে নেয়ার মতো সিদ্ধান্তের অনুমোদন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সবসময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থবিধি মেনে না চললে ছয় মাসের করাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, চলাচল নিষেধাজ্ঞাকালীন জনসাধারণ এবং সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরি ব্যতিত কোনোভাবেই বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে সর্বাবস্থায় বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এদিকে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ধারা ২৪(১)-এ বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটিতে সহায়তা করেন, বা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও অপর কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত ব্যক্তি বা স্থাপনার সংস্পর্শে আসিবার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি তাহার কাছে গোপন করেন তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হবে একটি অপরাধ।
২৪ (২) বলা আছে যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লাখ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
একই আইনের ২৫(১)(ক, খ) এ বলা আছে- মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তার ওপর অর্পিত কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
২৫(২) তে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া অচেনা করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ দেশে ধরা পড়ে ৮ মার্চ। এরপর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। রােববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, দেশে ভাইরাসটিতে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ১৫৩ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৬৫০ জনের।