
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা প্রতিনিধি : শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সরকার শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্বি করেছে। তাদের সমস্যা সমাধানে স্বচেষ্ট রয়েছে কিন্ত সে তুলনায় শিক্ষকদের মাঝ থেকে সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং সাম্প্রতিক কালে শিক্ষক দ্বারা বিভিন্ন ভাবে হয়রানির অভিযোগ আসছে। বিশেষ করে শিক্ষকের মাধ্যমে যৌন হয়রানি খুবই জগন্য কাজ। সরকার এ সমস্ত শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে। উপমন্ত্রী বলেন বলেন, শিক্ষাঙ্গনে শারীরিক মানসিক নির্যাতন বন্ধে সরকার আন্তরিক রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন জরূরী। তা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি আর ও বলেন, মেয়েদের মাসিক একটি প্রাকৃতিক বিষয়। এই বিষয়ে অনেক নেতীবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তা পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে সচেতন করতে এবং মেয়েদের স্বাস্থ্যসম্মত সেনিটারি নেপকিন সরবরাহ করার লক্ষে ঋতু নামে একটি প্রকল্প গ্রহন করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি আজ বিকালে রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় শিশু ফোরামের আয়োজনে ‘শিশুর চোখে মানসম্মত শিক্ষা ও করনীয়’ শীর্ষক শিশু সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি এর সভাপতিত্বে এ সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা। সারা বাংলাদেশ থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ সংলাপে অংশগ্রহণ করে। ‘শিশুর চোখে মানসম্মত শিক্ষা ও করনীয় শীর্ষক শিশু সংলাপে’ শিক্ষার্থীরা নিন্মলিখিত বিষয় তুলে ধরেন।
১) মাদ্রাসাসমুহে বেশী শারীরিক শাস্তি দেয়া হয়।
২) স্কুলগুলোতে পরিষ্কার টয়লেট নাই।
৩) বিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা নাই।
৪) চাপ ও যন্ত্রনামুক্ত শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করা।
৫) হাওর এলাকায় বছরে দুই বার স্কুল বন্ধ থাকে। এ বিষয়ে ব্যাবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
৬) মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত শিক্ষক নাই।
৭) স্কুলগুলি কোচিং করতে বাধ্য করে।
৮) কিছু জানতে চাইলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ধমক দিয়ে বসিয়ে দেয়।
৯) শিক্ষক স্বল্পতা,
১০) এখন ও কর্পোরাল পানিসম্যান্ট হচ্ছে।