Home ব্রেকিং চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে বিজয়ী হলেন অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল

চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে বিজয়ী হলেন অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল

62
0
SHARE

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি :

চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী হলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল।  পৌরসভা নির্বাচনে ৫২টি কেন্দ্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিল্লুর রহমান জুয়েল পেয়েছেন সর্বাধিক ভোট।

১০ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩০ টিরও  বেশি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে তিনি এগিয়ে রয়েছেন।   তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি।

নানা অভিযোগ তুলে বিকেলে বিএনপি প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি  ও ইসলামী আন্দোনের প্রার্থী মামুনুর রশিদ বেলাল  নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।

এই প্রথম ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চাঁদপুর পৌরসভার ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পৌরসভার ১৫ ওয়ার্ডে ৫২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র হিসেবে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ মামুনুর রশিদ বেলাল।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসনরে পক্ষ থকে ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৌর এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন আনসার সমন্বয়ে গঠিত স্টাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেছেন। চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন।

চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন জানান, চাঁদপুর পৌরসভার ভোটার সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৮৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৯ হাজার ২৭ জন এবং নারী ভোটার ৫৮ হাজার ৮৫৯ জন। ৬৭ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে তিনজন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত নারী আসনের ১৪ জন এবং কাউন্সিলর প্রার্থী ৫০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ নির্বাচনে।

তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর পৌরসভায় ওয়ার্ড সংখ্যা ১৫টি, ভোটকেন্দ্র ৫২টি ও ভোটগ্রহণ কক্ষ ৩০৫টি। প্রতিটি কক্ষে দুটি করে ইভিএম মেশিন ছিলো। তার মধ্যে একটি অতিরিক্ত  প্রতি কেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার, প্রতি কক্ষে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুজন পোলিং অফিসার নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কাজে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে ১০ জন করে আনসার, বিজিবি সদস্য ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

image_pdfimage_print