Home ব্রেকিং রূপকল্প ’৪১ বাস্তবায়নে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুফল গ্রহনের কোন বিকল্প নেই ...

রূপকল্প ’৪১ বাস্তবায়নে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুফল গ্রহনের কোন বিকল্প নেই শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি, এমপি

30
0
SHARE

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি বলেছেন, একটি দেশের জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক কাঠামো অনুযায়ী কর্মক্ষম জনসংখ্যা যখন নির্ভরশীল জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায় তখন সে দেশে একটি সুযোগের সৃষ্টি হয়, যে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানের উন্নতি সাধন করতে পারে। জনমিতির ভাষায়, এই অবস্থানকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলে আখ্যায়িত করা হয়। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড প্রতিটি দেশ কেবল একবারই পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সাল থেকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের যুগে প্রবেশ করে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক সময় অতিবাহিত করেছি। আমাদের হাতে আর সময় আছে মাত্র ১০ থেকে ১১ বছর। আমাদের মনে রাখতে হবে যে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কোন গিফট নয়। এটি ডিভিডেন্ড। এর সুবিধা পেতে হলে সঠিক বিনিয়োগ দরকার। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে এই সুযোগ এক পর্যায়ে বিপর্যয় হয়ে দেখা দেবে দেশের জন্য। নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী বেড়ে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে যাবে, খরচ বাড়বে, সঞ্চয় কমবে এবং বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়বে। ফলে কম লোক উপার্জন করবে আর অধিক লোক তাদের উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। ভিশন-২০২১, এসডিজি লক্ষ্য অর্জন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং ভিশন-২০৪১ অর্জন করতে তথা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল গ্রহণের বিকল্প নেই।

তিনি আজ  সকালে রাজধানীর নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিসি প্রফেসর ড. এফ আর পেট্রিক ডি জেফনি, সি এস সি  (Professor D. F. R. Patrick D. Gaffney, C.S.C) এর সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিংস কলেজ ইউএস এর প্রেসিডেন্ট ড. এফআর থমাস জে. ও হারা সিএসসি (Dr. Fr. Thomas J. O’ Hara CSC)। অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকার আর্চ বিশাপ এইচ ইএম কার্ডিনাল পেট্রিক ডি রোজারিও, সিএসসি

মন্ত্রী বলেন আমাদের মনে রাখতে হবে যে একদিকে যেমন দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক তৈরী করতে হবে তেমনি তাদের মানবিক গুণাবলী ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতেও সক্ষম হতে হবে। শিক্ষাঙ্গন ও শিল্পের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারলে আমরা স্নাতকদের ও চাকরীদাতাদের পারষ্পরিক প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যেও দূরত্ব দূর করতে পারবো। আজ আমাদের কাছে স্পষ্ট যে শিক্ষাঙ্গন কে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ এবং যে কোন ধরনের নির্যাতন, নিপীড়নমুক্ত রাখতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার ও অভিভাবকদের সজাগ, সতর্ক ও সক্রিয় থাকতে হবে এবং সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন হয়ে ওঠে জ্ঞান, বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সুকুমার বৃত্তি চর্চার পীঠস্থান

image_pdfimage_print