
ঢাকা: জোয়াকিম লোর শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটা রাঙাতে পারলেন না মুলার-ভেরনাররা। ইংল্যান্ডের কাছে ২-০ গোলের হারে ইউরো অভিযান শেষ হয়ে গেল জার্মানির।
এই জয়ে অবশ্য পুরোনো এক দায় শোধ করলেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ১৯৯৬ ইউরোর সেমিফাইনালে এই জার্মানির বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের জয়ে গোল করেছেন রাহিম স্টার্লিং ও হ্যারি কেন। জার্মানির বিপক্ষে নকআউট পর্বে ৫৫ বছর জিততে না পারার আক্ষেপ দূর করল থ্রি লায়নসরা।
ওয়েম্বলিতে এদিন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিল দুই দল। গোলের লক্ষ্যে প্রথম থেকেই প্রেস করে দুই দল। বল দখলে অবশ জার্মানির চেয়ে এগিয়েই ছিল ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে তারা সুযোগও তৈরি করে একাধিক। সেগুলো পরিণতি পায়নি। এর মাঝে ডি-বক্সের বাইরে থেকে স্টার্লিংয়ের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার। মিডফিল্ড গুছিয়ে নিয়ে জার্মানিও চেষ্টা করে আক্রমণে যাওয়ার। জার্মানদের হয়ে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন চেলসি তারকা টিমো ভেরনার।
প্রথমার্ধে দুই দলই একাধিকবার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। ফিনিশিংয়ের অভাবে সেগুলো কাজে লাগেনি। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে কাছাকাছি গিয়ে দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কাই হাভার্টজের বুলেট গতির শট দুর্দান্ত দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্দান পিকফোর্ড। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের ধারায় লড়াই জমিয়ে তোলে দুই দল। এ সময় দুই দলের রক্ষণ দারুণ দৃঢ়তা দেখায়৷ ম্যাচের ৭৫ মিনিটে আর আটকে রাখা যায়নি স্টার্লিংকে। দলীয় সমন্বয়ে দারুণ এক আক্রমণে লক্ষ্যভেদ করেন এই ম্যানচেস্টার সিটি তারকা। মজাটা হচ্ছে, তখন পর্যন্ত এটি ছিল এবারের ইউরোতে ইংল্যান্ড ও স্টার্লিংয়ের তৃতীয় গোল। ৮১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন টমাস মুলার। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি বায়ার্ন মিউনিখ তারকা। ৮৬ ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করে জার্মানির ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা শেষ করে দেন কেন।
ম্যাচ শেষে ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস বলেছেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য! গ্রুপ পর্বে অনেকেই আমাদের শেষ দেখে ফেলেছিল। আমাদের গোল করতে না পারা ও পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু আমরা সবাইকে ভুল প্রমাণ করেছি।’