
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর হয়ে মেঘনা সেতু পর্যন্ত দ্রুত শেষ করতে হবে। অধিগ্রহণসহ সকল কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করতে হবে। কাজের ব্যাপারে কোনো রকম গাফিলতি ও অনিয়ম সহ্য করা যাবে না। কাজের গুনগত মান ঠিক রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণকেও এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে হবে ৷ উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনে পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে সারাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বে উন্নয়নের মডেলে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য মর্যাদা পেয়েছে। তার আমলেই পদ্মাসেতু হয়েছে। শরীয়তপুরে এখন আর নদীভাঙন নেই। বিদ্যুতেও আমরা স্বয়ংসম্পন্ন। পদ্মার তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবেলের মাধ্যমে দূর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। তাই ফোর লেনের জন্য জনগণকে ধৈর্য্যধারন করতে হবে। এই ফোর লেন আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। মাদারীপুরের মতো ২০০৯ সালে শুরু করলে এই ফোরলেনের কাজ আরও আগেই শেষ হয়ে যেতো। তবে আমরা (উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ইকবাল হোসেন অপু এমপি ও নাহিম রাজ্জাক এমপি) ২০১৯ সালেই শরীয়তপুরে যাতে ফোর লেন হয় সে লক্ষে কাজ করেছি। এই সরকারের মেয়াদেই ফোর লেনের কাজ সম্পন্ন হবে। এজন্য সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, সড়ক ও জনপদের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সুরুজ মিয়া, জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান, পুলিশ সুপার সাইফুল হক, জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, সড়ক ও জনপদ শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূইয়া রেদোয়ানুর রহমান, শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজম, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওটিবিএল, রিলেভেল, মেসার্স জামিল ইকবাল ও মেসার্স সালেহ আহমেদ এর প্রতিনিধিবৃন্দ।