
শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানস্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। উন্নয়ন ছাড়া কোনো দেশ ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে গেলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত। অভাব শুধু গুণগত বা মানসম্মত শিক্ষার। শিক্ষার মান বাড়বে শিক্ষকদের গুণে। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিক্ষা সম্প্রসারণ ও জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক শিক্ষা ও সভ্যতার অধিকতর অগ্রগণ্য অভিভাবক। একজন শিক্ষকই একটি জাতিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
বুধবার সকালে মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৪০নং ব্রাহ্মণচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কুদরত হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।
একজন শিক্ষকের সুষ্ঠু পাঠদানের মূল্য অর্থ দিয়ে পরিশোধ করা যায় না। শিক্ষকতা একটি মহান ও মর্যাদাশীল পেশা। শিক্ষকেরা সমাজ ও জাতি গঠন এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে অগ্রণী ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের নৈতিক আদর্শ গঠনে শিক্ষকদের তুলনা হয় না। শিক্ষাই পারে মানুষের জীবন বদলে দিতে। সুশিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। গতানুগতিক শিক্ষার পরিবর্তে কর্মমুখী ও ব্যবহার উপযোগী শিক্ষা দিতে শিক্ষকদের উদ্যোগী হতে হবে। শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা না গেলে তা সম্ভব হয় না। তথ্য প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষকতা অন্যান্য পেশার রোল মডেল। একজন শিক্ষক মানুষ, সমাজ ও জাতি গড়ার কারিগর। সুস্থ দেশ গড়ার জন্য চাই একজন শিক্ষক। উল্লেখ্য, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা প্রশাসন, যোগ্য শিক্ষকমণ্ডলী ও কারিকুলামের ওপর নির্ভর করে মানসম্মত শিক্ষা অর্জন সম্ভব। শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্তসহ মানসম্মত পাঠদানের অভিনবত্ব সৃষ্টির মাধ্যমেই নিশ্চত হবে শিক্ষার গুণগত মান। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের পাঠদানের ক্ষেত্রে তাদের সদিচ্ছা, ইচ্ছাশক্তি ও আন্তরিকতাই যথেষ্ট। শিক্ষার গুণগত মান যদি বৃদ্ধি না পায় তবে তা হবে শিক্ষার মানোন্নয়নের মর্সিয়া। একজন শিক্ষকের জীবনাদর্শ হবে দেশ, জাতি ও সমাজের জন্য আলোকবর্তিকাস্বরূপ। শিক্ষকদের স্বশাসিত হতে হবে। তাড়িত হতে হবে বিবেক দ্বারা। শিক্ষার্থীদের আত্মোপলব্ধির প্রয়োজনে চমৎকার উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকবে শিক্ষকদের।
শিক্ষার গুণগত মান অর্জনের মাধ্যমে কৃতিত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের যাত্রা শুরু করতে হবে।
এসময় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম খোকন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান, সহকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিতি ছিলেন।