Home জাতীয় শিশুদের ডিম খেতে অনুপ্রেরণা

শিশুদের ডিম খেতে অনুপ্রেরণা

36
0
SHARE

। ডিম খাওয়ার উপকারিতা, ডিমের পুষ্টি উপাদান, ডিম না খাওয়ার অপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে তাদেরকে ডিম খেতে উদ্বুদ্ধ করেছে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর।
এ উপলক্ষে গতকাল (১৩.০২.২০২২খ্রিঃ) এবং আজ (১৪.০২.২০২২খ্রিঃ)শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিজ্ঞান বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছে। এসব বিজ্ঞান বক্তৃতার বিষয়বস্তু “বেশি করে ডিম খাবো”, “ডিম খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা” ইত্যাদি। শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকদেরও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে তাদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিনে ডিমকে অপরিহার্য হিসেবে খাদ্য তালিকায় রাখার জন্য। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বক্তৃতায় ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে এ মর্মে তারা এখন থেকে নিয়মিত ডিম খাবে।

ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী ডিম নিয়ে কিছু বৈজ্ঞানিক টিপস তুলে ধরে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন।

এসব কুইজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে হাঁসের ডিম না মুরগীর ডিম কোন্‌টিতে প্রোটিনের পরিমান বেশি, ডিমের বিশেষ পুষ্টিগুণ কি, ডিমের মধ্যে কোন্‌ উপকারী কোলেস্টেরল রয়েছে ইত্যাদি। গত দুদিন সরকারী তিতুমীর কলেজ ও মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী এ কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করে। এ কর্মসূচির বাইরে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনী, ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মাধ্যমে মহাজাগতিক বস্তু প্রদর্শন, টাইটানিক জাহাজে আরোহণ, বিমান জোন ও সৌরবাগান প্রদর্শনী ইত্যাদি। এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে বিশেষ স্মারক উপহারও প্রদান করা হয়। এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “ ইদানিং শিক্ষার্থীরা ডিম খাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছে, অথচ ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, উপকারি ওমেগা-৩ ও ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি, যা শিশুদের মেধাবিকাশে, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এসব শিশুদের কাছে বৈজ্ঞানিক তথ্য সহকারে উপস্থাপন না করে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো লোভের টার্গেট হিসেবে শিশুদের বেছে নিয়েছে। ফলে শিশুরা ডিম খাওয়া ছেড়ে দিয়ে ক্ষতিকর উপাদানে সমৃদ্ধ কোল্ডড্রিংস ও ফাস্টফুডে ডুবে যাচ্ছে। আগামী প্রজন্ম এক মেধাহীন রুগ্ন জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। বিজ্ঞান জাদুঘর শুধু প্রদর্শনীতে সীমাবদ্ধ না থেকে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এখন থেকে বিজ্ঞান জাদুঘরে আগত শিক্ষার্থীদের আপ্যায়নের আইটেম হিসেবে ডিম দেওয়া হবে।”

image_pdfimage_print